রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

করোনা মোকাবিলায় সেফ হোম মডেল রাজ্যের, প্রশংসায় কেন্দ্র

July 6, 2020 | 2 min read

করোনার মোকাবিলায় আইসিএমআর-এর নির্দেশিকা মেনে রাজ্য সরকারের ‘সেফ হোম’ তৈরির উদ্যোগ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা পেয়েছে। সম্প্রতি কোভিড-নাইনটিন নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠকে ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌড়া করোনাভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণের মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন বলে নবান্ন সূত্রের খবর। সেই সঙ্গে অন্যান্য রাজ্যকেও পশ্চিমবঙ্গের এই মডেল অনুসরণ করার পরামর্শে দিয়েছেন ক্যাবিনেট সচিব।

নবান্ন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা ওই বৈঠকে জানান, উপসর্গহীন করোনা রোগীদের কিংবা যাঁদের উপসর্গ একেবারে প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে, তাঁদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করার পরামর্শ দিয়েছে আইসিএমআর। কিন্তু জনবহুল একটি রাজ্যে কোনও পরিবারে এই ধরনের রোগী থাকলে বাড়িতে রেখে তাঁর চিকিৎসা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়। বহু বাড়িতে সে রকম সুযোগ বা জায়গা কিংবা পরিস্থিতিই নেই। বরং, তাতে গোষ্ঠী সংক্রমণের প্রবল আশঙ্কা থেকে যায় বলে মুখ্যসচিবের বক্তব্য।

ক্যাবিনেট সচিবের বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব জানান, রাজ্যের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোয়ারান্টিন সেন্টারের মতোই ‘সেফ হোম’ তৈরি করেছে। যেখানে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত নজরদারি চালাবেন রোগীর উপর। সুস্থ হলে রোগীরা নিজেদের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। কোনও রোগীর জটিলতা দেখা দিলে তাঁকে সেফ হোম থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেফ হোমে রোগীর থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার খরচ সরকার বহন করছে। ইতিমধ্যে রাজ্যে ১০৬টি সেফ হোম তৈরি হয়েছে। যেখানে ৬ হাজার ৯০৮টি শয্যা রয়েছে। প্রয়োজনে সংখ্যাটা বাড়বে বলে রাজীব সিনহা ওই বৈঠকে জানান।

প্রশাসন সূত্রের খবর, কলকাতার কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালও রাজ্য সরকারের এই মডেল অনুসরণ শুরু করেছে। সে ক্ষেত্রে হাসপাতাল সংলগ্ন হোটেলে এই সেফ হোম তৈরি করে ‘আইসোলেশন সেন্টার’ নাম দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে রোগীর থাকার জন্য খরচ আছে। কলকাতায় অবশ্য সরকারি উদ্যোগে দু’টি আইসোলেশনে সেন্টার চলছে। একটি ট্যাংরা এলাকায়, সেখানে দেড়শো শয্যা। দ্বিতীয়টি নিউ টাউনে, সেখানে শয্যা সংখ্যা একশো।

স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা জানান, বিভিন্ন এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী এই আইসোলেশন সেন্টার বা সেফ হোম তৈরি করা হচ্ছে। এখানে রোগীর পরিবারের সদস্যরা মনে করলে রোগীর সঙ্গে নিশ্চিন্তে দেখা করতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে শুধু শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাই নয়, মাস্ক ব্যবহার করা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলতে হবে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই উপসর্গহীন করোনা রোগী বাড়ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#safe home model, #covid-19

আরো দেখুন