ধোনির জন্মদিনে দেখে ফেলুন এই ক্রিকেটারের বায়োপিক
ধোনির ফ্যান, আর ‘এম এস ধোনিঃ দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ সিনেমাটি দেখেননি এমন মানুষের সংখ্যা বেশ কম। ধোনির নিজের জীবনও ঠিক সিনেমার মতোই। সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে বিশ্বজয় সহজ নয়। ভারতের সফলতম ক্যাপ্টেনের তকমা। এই সবই ধোনির জীবনকে আর সবার থেকে আলাদা করেছে। সেই অনন্য জীবনই তুলে ধরা হয়েছে ধোনির বায়োপিক ‘এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি‘-তে। রেলের টিটিই থেকে বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেনের যাত্রাপথ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই ছবিতে।
ধোনির চরিত্র যথাযথ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন সম্প্রতি প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। খেলার মাঠে মাহির আগ্রাসী মনোভাব, হেলিকপ্টার শট সবকিছুই খুব পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের সামনে তুলে ধরেছিলেন সুশান্ত। যুবরাজ সিং-এর চরিত্রে হেরি টাংরির অভিনয়ও যথেষ্ট সাবলীল।
ছবির প্রথমার্ধে রাঁচিতে ধোনির জীবন যে ভাবে তুলে ধরেছেন পরিচালক নীরজ পাণ্ডে নিঃসন্দেহে তা প্রশংসার যোগ্য। বাস্তবের সঙ্গে তার হুবহু মিল রয়েছে আবার নাটকীয়তাও সুন্দর ভাবে বজায় রাখা রয়েছে। খড়গপুর স্টেশনের একটা দৃশ্যে দেখা যায় উল্টোদিক থেকে আসা বহু মানুষের ব্যুহ ভেদ করে বেরোতে চাইছেন ধোনি। এই একটা দৃশ্যেই ধোনির প্রায় গোটা জীবনটাই তুলে ধরেছেন নীরজ। এ ভাবেই স্রোতের উল্টোদিকে হেঁটে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি।
তবে এই ছবির সবচেয়ে দুর্বল বিষয়টি হল ভারতের সফলতম ক্যাপ্টেনের চরিত্রে বিতর্কের দিকগুলো সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন পরিচালক। ছবির দ্বিতীয়ার্ধ সে ভাবে চোখ টানে না। ক্রিকেটার ধোনির যে সব সিদ্ধান্ত বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে, ছবিতে সে সব কিছুর উল্লেখই নেই। সেহবাগ, গম্ভীরদের মতো দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে ধোনির ঝামেলা, যুবরাজ সিং-এর সঙ্গে তাঁর প্রতিদ্বন্দিতা, মিডিয়ার সঙ্গে নরম-গরম সম্পর্ক – সবই এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বায়োপিকে।