করোনায় মৃত্যু ঠেকাতে নতুন নির্দেশিকা জারি দপ্তরের
করোনা চিকিৎসায় কোনওরকম খামতি বরদাস্ত করবে না স্বাস্থ্য দপ্তর। কোনওভাবেই যাতে মৃত্যু না হয়, তার জন্য নতুন করে চিকিৎসার প্রোটোকল নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দপ্তর। এক্সপার্ট টিম বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখছে চিকিৎসার প্রোটোকল মানা হচ্ছে কি না। বেশ কিছু খামতি নজরে আসার পর ফের সমস্ত কোভিড হাসপাতালের জন্য নয়া নির্দেশিকায় সতর্ক করা হয়েছে।
ইমার্জেন্সি থেকেই ঠিকমতো বিভাজন বা ট্রায়াজ করতে হবে। কোন রোগীকে আইসোলেশনে কিংবা কাকে আইসিইউ–তে রেখে চিকিৎসা প্রয়োজন, তা নিশ্চিত করতে হবে। স্থানান্তর করার প্রয়োজন হলে কী কারণে, তার উল্লেখ করে সমস্ত পরীক্ষার রিপোর্ট–সহ বেড হেড টিকিট সঙ্গে পাঠাতে হবে। দেরি করা চলবে না। রোগীর বিস্তারিত তথ্য নথিভুক্তকরণের জন্য টপশিট এখনও মানা হচ্ছে না, তা শোধরাতে হবে। রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতির রেকর্ড রাখতে হবে এবং ভিজিটিং কনসালট্যান্ট তা দেখে সই করবেন।
উপুড় করে রোগীকে শুইয়ে ভেন্টিলেশন চালানোর আগে চিরাচরিত পদ্ধতিতে যেমনভাবে দেওয়া হয় সেইভাবে আগে দিয়ে দেখতে হবে কতটা কাজ হচ্ছে। নির্বিচারে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার এড়াতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক কতটা অপরিহার্য তা বিবেচনা করে অবশ্যই নথিভুক্ত রাখতে হবে। না হলে রোগীর প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে উল্টে ক্ষতি হতে পারে। ভেন্টিলেশনে সেকেন্ডারি কোনও ব্যাক্টিরিয়ার সংক্রমণ হল কিনা পরীক্ষা করতে হবে। সুপার স্পেশ্যালিটি চিকিৎসকদের অবশ্যই থাকতে হবে। না থাকলে এক্সপার্ট টিমের বিশেষজ্ঞরা ফোনে পরামর্শ দেবেন।
ঘাটতি নজরে আসার পর বারবার নির্দেশিকা দিয়ে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। নতুন নির্দেশিকায় আগের নির্দেশগুলিও বহাল রেখেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।