বিনোদন বিভাগে ফিরে যান

দুই বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন গুরু দত্ত – জানেন কেন

July 8, 2020 | 2 min read

গুরু দত্তকে বাদ দিলে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাস অসমাপ্তই থাকবে। হিন্দী সিনেমার ঘরানাতে কাজ করেও তাঁর চিন্তাধারা ছিল সমৃদ্ধ ও আধুনিক। তাঁর কাজে বারবার উদ্বুদ্ধ হয়েছেন বিমল রায়, কে আসিফ, মেহেবুব খান, কোমল আম্রহি, বি আর চোপরা, হৃষীকেশ মুখার্জিরা। 

তাঁর সিনেমায় থাকতো হেরে যাওয়া থেকে জন্ম নেওয়া আবেগের কথা। পেয়াসা ও কাগজ কে ফুলেও দেখা যাবে এই একই প্রতিচ্ছবি। পেয়াসা বাণিজ্যিক ভাবে সফল হলেও সেই সময় কাগজ কে ফুলে ক্ষতি হয় ১৭ লক্ষ টাকার। এরপরের চৌদবী কা চান্দ, সাহেব বিবি গোলাম থেকে তিনি এই ক্ষতিপূরণ করেন। গুরু দত্তকে দক্ষ অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবে অনেকেই দেখেছে দেব আনন্দ অভিনীত সিআইডিতে। 

তিনি বলিউডে নিয়ে আসেন ওয়াহিদা রেহেমানের মত কিছু প্রতিভাকে। সুযোগ দেন জনি ওয়াকার, লেখক নির্দেশক আব্রার আল্ভি, সিনেমাটগ্রাফার ভি কে মুরথিকে। তিনি ব্যর্থতা পছন্দ করতেন না। এই তথ্য দেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু স্বর্গীয় দেব আনন্দ। কাগজ কে ফুলের ব্যর্থতা তিনি তাঁর ৩৯ বছরের জীবনে কখনো ভোলেন নি। 

গুরু দত্ত

তাঁর বোন ললিতা লাজমি জানান তাঁর গীতা দত্তের সঙ্গে বৈবাহিক জীবন আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মত ছিল না। দুজনেই ছিলেন খুব সংবেদনশীল। ফলে না একে অপরের সঙ্গে থাকতে পারতেন না একে অপরকে ছাড়া। গীতা দত্ত সকল নায়িকাকেই সন্দেহের চোখে দেখতেন যাদের সঙ্গে গুরু দত্ত অভিনয় করেছেন। এটি অন্যতম কারণ তাঁদের বৈবাহিক ব্যর্থতার। কিন্তু গুরু দত্ত তাঁর স্ত্রীকে ভালোবাসতেন।

সাহেব বিবি গোলামের সাফল্যের পরেও ওয়াহিদা রেহেমান গুরু দত্তের সিনেমা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলে খুব আঘাত পান গুরু দত্ত। তাঁর বোন আরও জানান, মৃত্যুর আগেও গুরু দত্ত দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাঁর ছোটবেলায় সারাক্ষণ তাঁর অভিভাবকদের মধ্যে ঝগড়া হওয়ায় তাঁর শৈশব ভালো কাটেনি। 

দ্বিতীয়বার আত্মহত্যার চেষ্টা করার পর নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি হন এবং তিনদিন কোমায় ছিলেন। জ্ঞ্যানে এসে প্রথম শব্দ উচ্চারণ করেন গীতা। কিন্তু ততদিনে দুজনেই দুজনকে শেষ করার পথে এগিয়ে গেছেন অনেকদুর। জীবনের শেষের দিকে মাদকাসক্ত হন গুরু দত্ত।  

এক নিকট ভাই এবং গুরু দত্তের বড় ছেলে তরুণও আত্মহত্যা করেন। ১৯৬৪ সালের ১০ই অক্টোবর মৃত্যুর আগে আব্রার আল্ভির সঙ্গেই তিনি পান করছিলেন। তারপর ডিনার না করে ঘুমের ওষুধ খেয়ে শুতে যান। পরদিন দরজা ভেঙে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া গেলে দেখা যায় সিনেমায় ফ্রিজ ভঙ্গীতে তিনি শুয়ে আছেন। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Guru dutt

আরো দেখুন