CBSE-র সিলেবাসে নেই ধর্মনিরপেক্ষতা-নাগরিকত্ব-দেশভাগ, ক্ষুব্ধ মমতা
চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য পাঠ্যক্রম ৩০% কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে CBSE। করোনা (Corona) লকডাউন (Lockdown) পর্বে পঠনপাঠন যে ভাবে প্রভাবিত হয়েছে, তা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক (HRD ministry)। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য এই বিধি কার্যকর হবে বলে মঙ্গলবারই জানিয়েছিল তারা। আর তা করতে গিয়েই একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সিলেবাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, নাগরিকত্ব, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতার মতো বিষয়কে বাদ দিয়েছে CBSE। বুধবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এই খবর শেয়ার করে গোটা বিষয়ের তীব্র বিরোধিতা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘নাগরিকত্ব, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, ধর্মনিরপক্ষেকতা, দেশভাগরে মতো বিষয়কে CBSE-র সিলেবাস কমানোর নামে পাঠ্যক্রম থেকে কেন্দ্র বাদ দিতে চাইছে জেনে আমি স্তম্ভিত। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি এবং কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে আর্জি জানাচ্ছি যাতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি বাদ না দেওয়া হয়।’ বুধবার এমনই টুইট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রীর মতোই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতারা।
গতকাল মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক টুইটে জানিয়েছিলেন, ‘প্রত্যেক বিষয়ের মূল ধারণাগুলিকে কাটছাঁট না করেও ৩০% পর্যন্ত পাঠ্যক্রম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ তবে যে সব অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিলই। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই সিলেবাস কমানো হচ্ছে। টুইটারে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পোস্ট করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর, জয়রাম রমেশ, CPM সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির মতো অনেকেই। অভিযোগ, রাষ্ট্রবাদী মতাদর্শ চাপিয়ে দিতেই মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত।
যদিও কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী এর আগে জানিয়েছিলেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ-সহ নানা অংশ থেকে মতামত নেওয়া হয়েছিল। তাঁর কথায়, দেড় হাজারেরও বেশি মতামত পাওয়া গিয়েছিল।