একাধিক সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ট্রামে আপত্তি বিশেষজ্ঞ কমিটির
ভার কমাতে সেতুর ওপরে ট্রাম লাইনে না। সেতু বিশেষজ্ঞ কমিটির তরফে রিপোর্টে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কে এম ডি এ’র নিয়ন্ত্রণে থাকা যে সমস্ত সেতু রয়েছে তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভার কমাতে হবে সেতুর। এর আগে শিয়ালদহ সহ বিভিন্ন সেতু’র ওপর থেকে পিচের আস্তরণ কমানো হয়। এবার পাকাপাকি ভাবে ট্রাম লাইন সরাতে বলল বিশেষজ্ঞ কমিটি।
রাজ্য নগরায়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে যা যা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে।” কালীঘাট সেতু, শিয়ালদহ সেতু সহ আর জি কর হাসপাতালের সামনের সেতু থেকে তাই পুরোপুরি সরানো হচ্ছে ট্রাম লাইন। অপরদিকে, শীঘ্রই শুরু হচ্ছে শিয়ালদহ সেতু সংষ্কারের কাজ। সেতু পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে বহু জায়গায় দোকান থাকার জন্যে কোথাও কোনও ধরণের ফাটল থাকলে তা নজরে আসছে না। একাধিক জায়গায় সেতুর নীচে স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ হয়ে গিয়েছে। তা নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে।
নগরায়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ” সেতু সংষ্কারের সময় হকাররা আমাদের সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা কাজ শুরু করে দেব ওদের সরিয়েই।”ইতিমধ্যেই ১১টি উড়ালপুলের পরীক্ষার কাজ শেষ। বাকি রয়েছে ৫টি ব্রিজে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ। সেগুলি হল ঢাকুরিয়া ব্রিজ, জীবনানন্দ সেতু, দুর্গাপুর ব্রিজ, আম্বেদকর ব্রিজ এবং চিৎপুর ব্রিজ। কেএমডিএ পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই ৫ ব্রিজে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গেলে ৩ দিন করে সেতু বন্ধ রাখতে হবে যান চলাচলের জন্যে। তাই ট্রাফিক পুলিশের পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ এগোবে। তবে ত্রুটিপূর্ণ ব্রিজগুলির কাজ দ্রুত শুরু করতে চাইছে রাজ্য।