দেশ বিভাগে ফিরে যান

দেশে এখনও নাকি গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি ! বিতর্ক

July 10, 2020 | 2 min read

দেশে আক্রান্ত আট লাখের কাছাকাছি। মৃতের সংখ্যা ২১ হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে। প্রতিদিনই ভাঙছে সংক্রমণের রেকর্ড। বিশ্বের মধ্যে প্রথম তিনে আগেই জায়গা করে নিয়েছে ভারত। এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবারও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জোর গলায় দাবি করলেন, দেশে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়নি।

দেশের মোট অ্যাক্টিভ রোগীর ৯০ শতাংশই আট রাজ্যে। মাত্র ৪৯টি জেলায় রয়েছেন ৮০% রোগী। ৮৬ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৬টি রাজ্যে। ৮০% মৃত্যু ঘটেছে মাত্র ৩২টি জেলায়। এই অঞ্চলগুলিতেও গোষ্ঠী সংক্রমণের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ধরা হচ্ছে স্থানীয় ভাবে সংক্রমণের উচ্চ হার হিসেবেই। ৮ জুন দেশে আনলক ওয়ান শুরু হয়। বুধবার তার এক মাস পূর্ণ হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ দিন ঠিক এক মাস পর নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান তুলে ধরেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ভারতের পরিস্থিতি অন্য দেশের তুলনায় কতটা ভালো, তা দেখাতে একের পর এক পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। যেমন, বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমিত দেশ হলেও ভারতে প্রতি দশ লাখ জনসংখ্যায় ৫৩৮ জন সংক্রমিত। এই হার বিশ্বে সর্বনিম্ন৷ দুনিয়ায় এই হার ১,৪৫৩। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে মৃত্যুর হারও (প্রতি দশ লাখে ১৫ জন) বিশ্বে সর্বনিম্ন৷ সারা বিশ্বে এই হার ৬৮.৭৷

দেশে ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সুস্থতার হার (৬২.১%)৷ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অ্যাক্টিভ রোগীর (২,৬৯,৭৮৯) সঙ্গে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা রোগীর (৪,৭৬,৩৭৭) ব্যবধান৷ করোনা যুদ্ধে এই ধরনের ভালো লক্ষণের মাঝে গলার কাঁটাও আছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রকাশিত সমীক্ষায় আশঙ্কা, ভারতে করোনা সংক্রমণের যা গতিপ্রকৃতি, তাতে আগামী বছরের গোড়ায় প্রতিদিন গড়ে ২ লক্ষ ৮৭ হাজার করোনা রোগী পাওয়া যেতে পারে৷ প্রশ্ন ওঠে সাংবাদিক বৈঠকে, আদৌ কি এমন কোনও আশঙ্কা আছে? প্রশ্নের সরাসরি উত্তর পাওয়া যায়নি৷

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#harsh vardhan, #covid-19

আরো দেখুন