জীবনশৈলী বিভাগে ফিরে যান

ক্রীড়া সাংবাদিকতার বাইরেও এক অন্য মতি নন্দী

July 10, 2020 | 1 min read

জাতীয় পুরস্কার পাওয়া ‘কোনি’ ছবির সেই বিখ্যাত সংলাপ কারোরই ভোলার কথা না। ‘ফাইট কোনি, ফাইট’। বাংলার কোচদের কাছে প্রেরণা কোনির সেই সংলাপ। সংলাপটি লিখেছিলেন বিখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক মতি নন্দী। তিনি শুধুই ক্রীড়া সাংবাদিক ছিলেন না। ১৯৩১ সালের ১০ জুলাই উত্তর কলকাতায় জন্ম নেওয়া এই সাংবাদিক ছিলেন এক সফল সাহিত্যিকও। আনন্দ পুরষ্কার পাওয়া এই সাহিত্যিক তাঁর অন্য ঘরানার গদ্যে সমৃদ্ধ করেছেন বাংলা সাহিত্যকে।

লস অ্যাঞ্জেলেস ও মস্কো অলিম্পিক, দিল্লি এশিয়ান গেমস কভার করা এই ক্রীড়া সাংবাদিক দীর্ঘদিন ছিলেন আনন্দবাজার পত্রিকার ক্রীড়া সম্পাদক। তাঁর কোনি, স্টপার, স্ট্রাইকার – এর মতো উপন্যাসগুলো বাংলার ক্রীড়া সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। সাদা খাম, গোলাপ বাগান, উভয়ত সম্পূর্ণ এবং বিজলীবালার মুক্তি এই উপন্যাসগুলি বাংলা ধ্রুপদী সাহিত্যে জায়গা করে নিয়েছে। তাঁর লেখা ছোট গল্পগুলিতে তিনি পাঠকদের একেবারে ভিন্ন স্বাদ দিয়েছেন। ২০১০ সালের ৩-রা জুলাই মৃত্যু হয় তাঁর।

সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায়, মতি নন্দী লেখকদের লেখক। সন্তোষকুমার ঘোষ বলেছিলেন, তিনি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সার্থক উত্তরসূরি। আবার অনেকের কাছে তিনি ছিলেন শুধুই ক্রীড়া সাংবাদিক। ব্যক্তি মতি নন্দীকে কখনোই এ সব নিন্দে, প্রশংসা স্পর্শ করতে পারেনি।

এক জায়গায় মতি নন্দী বলেছিলেন, ‘নিজের সম্পর্কে এটুকু বলতে পারি অযত্নের লেখা কখনও ছাপতে দিইনি। শুরুতে বছরচারেক শুধু অনুশীলনই করেছি গল্প লেখার। কোনও একটা ব্যাপারে নাড়া খেয়েই বা সযত্নে প্লট তৈরি করে লিখতে বসা আমার স্বভাববিরুদ্ধ।’

মতি নন্দীর লেখায় ফুটে উঠেছে তাঁর চারপাশের পরিবেশ। প্রায় সব লেখাতেই ব্যক্তি সম্পর্কের টানাপোড়েন, প্রেম, যৌনতা যেমন উঠে এসেছে, তেমনই সমাজ, অর্থনীত, বিবিধ জটিলতাও ঠাই পেয়েছে। তিনি বিশ্বাস করতেন, তৃতীয় বিশ্বের নিরক্ষর দরিদ্র দেশের লেখকদের জনসাধারণের কাছে দায়বদ্ধ থাকা খুবই জরুরি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Moti Mandi

আরো দেখুন