জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে অমিতাভ ঘোষের এই সাবধানবাণী উপেক্ষা করবেন না
‘দ্য গ্রেট ডেরেঞ্জমেন্ট – ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড দ্য আনথিঙ্কেবল’ বইটিতে লেখক অমিতাভ ঘোষ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেন, এবং বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেন। তার উত্তরও তিনি নিজেই দিয়েছেন।
এই বইয়ে অমিতাভ ঘোষ বর্ণনা করেন ১৯৭৮ সালে উত্তর দিল্লীতে কিভাবে একটি ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হন তিনি এবং তা থেকে নিস্তার পান। এই বইটি ব্যক্তিগত জীবনের সাথে পরিবেশ জলবায়ু নিয়ে আলোচনার এক অদ্ভুত ব্যালান্স।
দেখে নেওয়া যাক জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে অমিতাভ ঘোষের কি বলেছেন:
১। অমিতাভ ঘোষের মতে, “আপনি যদি মনে করে থাকেন জলবায়ু পরিবর্তনের খারাপ প্রভাবগুলি থেকে দূরে আছেন, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। ইতিমধ্যেই আমরা এই প্রভাবগুলির সম্মুখীন। আমাদের উত্তরসূরিরাই এই ঘটনার সম্মুখীন হবে তা নয়, আমরাও হতে শুরু করেছি।”
২। “যদি আজ মুম্বাইতে কোন ঝড় হয় তাহলে তা আটকানোর মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শহরের নেই। ঝড় প্রবল গতি নিয়ে ঢুকবে শহরে। ভাবুন ৩০-৪০ ফিট ঢেউ সরাসরি যদি শহরে আছড়ে পড়ে তাহলে কি হবে?”
৩। যখন জলবায়ুর প্রসঙ্গ আসে, অমিতাভ ঘোষ বিশ্বাস করেন, এই সমস্যাগুলি কখনোই ব্যক্তিগতস্তরে সমাধান করা যায় না। তিনি সরকার এবং জনগণের সম্মিলিত প্রয়াসের পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে “সরকার যদি সমস্যাটা এড়িয়ে যায়, তাহলে ব্যক্তিগত স্তরে আমরা কি করতে পারি!”
৪। অমিতাভ ঘোষের কথায়, “যখন কোনও দানবিক ঘূর্ণিঝড় চেন্নাই বা মুম্বাইয়ের দিকে আসে, তখন আপনি তাকে কী বলবেন? এদিকে এসো না, তুমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আছড়ে পড়? প্রকৃতি সম্পর্কে সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয়টি হল এটি ভালো খারাপ কোনটাই নয়। প্রকৃতির কিছুতেই কিছু যায় আসে না। আর সেটাই সব থেকে সুন্দর। এটি এর সামনে আসা সব কিছুকেই ভেঙে তছনছ করে দেয় – তা সে আপনিই হন বা একটি পাথর। এই বাস্তবটাই আমরা বার বার ভুলে যাই।”
৫। “জলবায়ু পরিবর্তন একটি সংস্কৃতিগত সমস্যা। জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ হল সংস্কৃতি। যেটা আমাদের জন্যে অত্যন্ত জরুরি।”