প্লে স্টেশনের ফাঁদে দেড় লক্ষ টাকার চোট অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের
আন্তর্জাতিক গেমিং প্ল্যাটফর্মে অনলাইনে টাকা পেমেন্ট করে আর্থিক প্রতারণার শিকার অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর অভিযোগ, একটি আন্তর্জাতিক গেমিং প্ল্যাটফর্মে অনলাইনে টাকা দিয়েছিলেন তিনি, তার পর থেকেই ক্রমাগত টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছিল। পরে তিনি বুঝতে পারেন যে, গুগল প্লে স্টেশনের জন্য অনলাইনে তিনি টাকা দিয়েছিলেন। সেখানে নিজের কার্ডের ডিটেইলসও দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছিল বলে দাবি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী অর্পিতার।
আর্থিক ভাবে প্রতারিত হওয়ার পর সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ তুললেন অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। ক্রেডিট কার্ড সংস্থায় অভিযোগ দায়েরের পর খোওয়া যাওয়া অর্থ ফেরত পেলেও, এই ধরনের প্রতারণার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। মানুষকে সতর্ক করার জন্য ট্যুইটারে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, দেশের ভিতরে কোনও সংস্থায় অনলাইনে টাকা দিতে হলে ব্যাংকের তরফে OTP অর্থাৎ ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড আসে। সেটি গ্রাহক নিশ্চিত করার পরই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটা হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক কোনও সংস্থার ক্ষেত্রেই এমন কোনও নিয়ম কার্যকর নেই। কেন এক্ষেত্রেও OTP দেওয়ার নিয়ম নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সরাসরি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কাছে জবাব চেয়েছেন বাঙালি নায়িকা।
এই প্রতারণা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন করেছেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে এমন নিয়ম কি জেনেবুঝেই তৈরি করা হয়েছে? এদিন প্রতারণা সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘প্রায় আড়াই তিন মাস ধরে প্রতি মাসেই ই-মেল পাচ্ছিলাম যে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে যাচ্ছে। এরকম হতে হতে প্রায় বারোটা মাস যাওয়ার পর আমার টনক নড়ল। তার পর আমি ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং প্রায় দেড় লাখের মতো টাকাই ফিরে পেয়েছি। প্রায় দেড় মাস লেগেছে এই গোটা টাকাটা ফেরত পেতে।’
কাজের জগতে আপাতত লকডাউনে গৃহবন্দি অর্পিতা। তবে হাতে বেশ কয়েকটি কাজ রয়েছে। তাঁর আগামী ছবি রাজর্ষি দে-র ‘রাইফেল’। এই ছবিতে একজন আইপিএস অফিসারের ভূমিকায় দেখা যাবে অর্পিতাকে। চরিত্রের গভীরে যাওয়ার জন্য বক্সিংয়ের ট্রেনিং শুরু করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি নিজের জিম সেশনেও বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। রাইফেল একটি ক্রাইম থ্রিলার। এই ছবিতে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা যাবে পূজারিণী ঘোষ, রুদ্রনীল ঘোষ, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় ও বাবুল সুপ্রিয়োকে।