সাধারণ অ্যালার্জিকে একদম অবহেলা করবেন না
ঘরের কাজ করতে গিয়ে পরপর হাঁচি, চোখ দিয়ে জল পড়া বা চোখ লাল হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। কিন্তু গুরুত্ব দেন কম জনই। তবে বাড়ির দৈনন্দিন কাজ করতে গিয়ে কেউ নিয়মিত এমন সমস্যায় পড়লে তাঁর কোনও অ্যালার্জি থাকার আশঙ্কা প্রবল বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। বারবার এমন হওয়া রোধ করা না-গেলে ভবিষ্যতে সামান্য হাঁচি-কাশিই গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
অতিমারির কারণে লকডাউন চালু হওয়ায় বাড়িতে থাকলেই যে অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকা যাবে, তা নয়। ঝাঁট দেওয়া, আসবাব পরিষ্কার করা, পর্দা বা বিছানার চাদর বদলানোর মতো কাজের মাধ্যমে বাড়ির ভিতরেই দূষণের কবলে পড়তে পারেন যে কেউ।
ধুলো, ঝুল, চাদরের রোঁয়া ছাড়াও বিছানা-সোফায় থাকা ‘ডাস্ট মাইট’ নামে এক ধরনের প্রাণী অ্যালার্জির অন্যতম উৎস। ঘরের কাজ করার সময়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখলে সমস্যা আটকানো যাবে বেশ খানিকটা। তার পরেও অসুবিধা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
করোনা পরিস্থিতিতে অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দিলে বিভ্রান্ত হতে পারেন সাধারণ মানুষ। কারণ, গলা ব্যথা, গলা খুসখুস, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট দুই রোগেই হতে পারে। কিন্তু অ্যালার্জির ক্ষেত্রে কখনওই জ্বর থাকে না।
কোভিড-১৯ মূলত শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ হওয়ায় অ্যালার্জি বা হাঁপানির রোগীদের কেউ যদি ওষুধ খান, তা বন্ধ করা চলবে না কোনও ভাবেই। প্রয়োজনে নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।