লকডাউনের জেরে বন্ধ হতে পারে রাজ্যের প্রচুর সিনেমা হল
করোনা এবং প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সাঁড়াশি আক্রমণের জেরে রাজ্যে আরও বেশ কিছু সিনেমা হল চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। সিনেমা হলের মালিক, প্রযোজক এবং সিনেমার নানা সংগঠনের কর্তাব্যক্তিদের এমনটাই মত। রাজ্যে সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হলের সংখ্যা কমতে কমতে প্রায় ২২০–তে এসে ঠেকেছে। সেই সংখ্যা আরও কমে গেলে বাংলা সিনেমা শিল্পের সমস্যা যে আরও বাড়বে, সন্দেহ নেই।
কবে খুলবে সিনেমা হল? এ নিয়ে কোনও কিছুই বলতে পারছেন না। প্রযোজকদের সর্বভারতীয় সংগঠন ফিল্ম ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ফিরদৌসুল হাসান একটি বাংলা দৈনিককে জানান, আমরা তো কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছি ১৫ জুলাই থেকে যেন সিনেমা হল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। কেন্দ্রের অনুমতি পেলে তখন বিভিন্ন রাজ্য পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে। উত্তর এখনও পাননি ফিরদৌসুল।
গত কয়েক বছরে একটার পর একটা নামকরা সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। পুরনো নামকরা হলের মধ্যে টিকে আছে মিনার, বিজলী, ছবিঘর, প্রিয়া, নবীনার মত কিছু হল। অনেক হল–মালিকই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দিতে পারছেন না। আম্পানের দাপটে অনেক সিনেমা হল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও চাল উড়ে গেছে, কোথাও গাছ পড়ে দেওয়াল ভেঙে গেছে। সেটা সারানোর খরচ আছে।
পাশাপাশি, ইলেকট্রিক বিল আছে, ট্যাক্স আছে। নানা সরঞ্জামের দেখভালের খরচ আছে। সিনেমা হল খুললে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্যানিটাইজ করা, নানা ব্যবস্থার খরচও কম হবে না। কিন্তু টিকিটের দাম বাড়ানোও অসম্ভব।
তাই, বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সামনে এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।