বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

সেক্স-চ্যাটেই সংসার চলছে সোনাগাছির দেহ ব্যবসায়ীদের

July 12, 2020 | < 1 min read

পৃথিবী জুড়ে বেড়েই চলেছে করোনার দাপট। সংক্রমণ রুখতে চলছে দফায় দফায় লকডাউন। আর এই লকডাউনের কারণে রুটিরুজিতে টান পড়েছে অসংখ্য দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের। চরম দুর্দশায় দিন কাটাছে সমাজের অবহেলিত শ্রেণীর মানুষেরা। হ্যাঁ, যৌনপল্লীর দেহব্যবসায়ীরা এখন চরম সঙ্কটে। 

তিনমাস ব্যাপী লকডাউনের ফলে করোনার সংক্রমণ এড়াতে এখন খদ্দেররা যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন সোনাগাছিতে। যার ফলে দীর্ঘদিনের রুটিরুজিতে কোপ পড়েছে যৌন ব্যাসায়ীদের। ফলে এখন যেন মাছি তাড়ানোর উপক্রম প্রায় সাত হাজার যৌনকর্মীর।

করোনার কারণে সোনাগাছির ছায়া এড়াতে ভার্চুয়াল সেক্সেই মজেছে অনেকে। ভিডিও কল, অনলাইন চ্যাটেই আজ দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছেন বাবুরা। লকডাউনের প্রথম দিকে এই ভার্চুয়াল সেক্সের সংখ্যাটা কম থাকলেও দিন যত গড়িয়েছে ততই একঘেয়েমি কাটাতে অনলাইন সেক্সেই মজেছেন যৌনকর্মী ও খদ্দেররা। এর ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা অনলাইন সেক্স চ্যাটে মশগুল হয়ে পড়েছেন কলকাতার সোনাগাছির যৌনকর্মীরা।

দূর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির প্রেসিডেন্ট বিশাখা লস্কর একটি নিউজ পোর্টালকে বলেন, ” করোনা সংক্রমণের ভয়ে এখন সবাই শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে নারাজ। ফলে বেড়েছে ফোন সেক্সের চাহিদা। এখানের প্রায় ১৩০ জন যৌনকর্মীর মধ্যে ৯৫ জনই অনলাইন সেক্সে মজেছে।”

মহাশ্বেতা মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “যারা রয়েছে একসময় তাঁদের মাসিক আয় ছিল পঁচিশ ত্রিশ হাজার। লকডাউনে সে সব কবেই উধাও হয়ে গিয়েছে। সংসার চালাতে এখন ওরা শাকসবজি ফল বেচেই কোনওরকমে দিন গুজরান করছে। আর এদের মধ্যে যারা এখানেই রয়ে গিয়েছে তাঁদের সবসময় রেডি থাকতে হয় ভার্চুয়াল জগতে সেক্স চ্যাট আদান, প্রদানের জন্য।”

সব মিলিয়ে বলা চলে, দীর্ঘমেয়াদি লকাডাউনের কারণে চরম দূর্দশা নেমে এসেছে যৌনকর্মীদের জীবনেও।

(তথ্যসূত্র: কলকাতা ২৪X৭)

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Sex workers, #Sonagachhi

আরো দেখুন