দেশ বিভাগে ফিরে যান

জেলবন্দি কবি ভারভারা রাও-এর অবস্থা সঙ্কটজনক

July 13, 2020 | 2 min read

প্রখ্যাত তেলুগু কবি-সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী ভারভারা রাও-এর জেলের মধ্যে যে কোনও সময় মৃত্যু হতে পারে, এমনই মনে করছে তাঁর পরিবার। এই মর্মে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করেছে তাঁর স্ত্রী হেমলতা ও তিন কন্যা।

ওই প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত প্রায় ৬ সপ্তাহ ধরে ৮১ বছরের রাও-এর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। গত ২৮শে মে তালোজা জেলে অজ্ঞান হয়ে পড়ার পরে তাঁকে রাজ্য পরিচালিত জে জে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তবে কয়েক দিনের মধ্যে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয়নি।

শনিবার, ১২ জুলাই তিনি রুটিনমতোই ফোন করেন। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে কোনও কথাই ঠিকমতো বলতে পারেননি। তিনি কথা ভুলে যাচ্ছেন। ফিরে যাচ্ছেন, তাঁর পিতা-মাতার মৃত্যুর কথায় যা যথাক্রমে ৭ দশক ও ৪ দশক আগে ঘটেছিল। বাকি কথাও অসংলগ্ন। কথার মধ্যে মধ্যে হিন্দিও বলছেন।

এর পরেই এক সহবন্দি ফোনে রাওয়ের পরিবারকে জানান, লেখক-কবির আর নিজে দাঁত মাজার ক্ষমতাও নেই। নেই চলাফেরার শক্তি। নিজের দৈনন্দিন কাজটুকুও আর করতে পারছেন না। ভুগছেন হ্যালুসিনেশনে। সোডিয়াম-পটাসিয়াম ইমব্যালেন্সও হয়েছে। রয়েছে স্নায়বিক সমস্যাও, যা জে জে হাসপাতালের রিপোর্টেও ছিল। পরিবারের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে দিনদিন।

এমতাবস্থায়, পরিবার সরকারের কাছে আবেদন করেছে রাওয়ের যেন কোনও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা হয়। তাঁর যে শারীরিক, মানসিক ও স্নায়বিক সমস্যা দেখা দিয়েছে তার জন্য বিশেষ চিকিৎসা প্রয়োজন। জেল কর্তৃপক্ষ যদি তা না পারেন, তা হলে পরিবারকে অনুমতি দেওয়া হোক তাঁর চিকিৎসা করানোর। পরিবারের কাতর মিনতি, ‘ভারভারা রাওকে দয়া করে আপনারা জেলের ভিতর মেরে ফেলবেন না।’

ওই বিবৃতিতে এ কথাও বলা হয়েছে, কেন তাঁকে অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করা হল সে প্রশ্ন তারা তুলছে না, এখন একমাত্র চিন্তা তাঁর সুচিকিৎসা। কারণ বিচারাধীন বন্দিরও জীবনের অধিকার আছে। ২০১৮ সালে এলগার পরিষদ মামলায় রাওকে পুনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। করোনা সংক্রমণের ভয়, শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তাঁর জামিন ৫ বার খারিজ হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#varavara rao, #hospital

আরো দেখুন