বড় সিদ্ধান্ত, উপমুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে সরানো হল শচীন পাইলটকে
রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা বিক্ষুব্ধ বিধায়ক শচীন পাইলটের বিরুদ্ধে (Rajasthan Crisis) এবার কড়া পদক্ষেপ নিল কংগ্রেস। মঙ্গলবারও রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়কদের নিয়ে হওয়া দ্বিতীয় বৈঠকে যোগ দেননি ওই তরুণ তুর্কি (Sachin Pilot)। এরপরেই দলের তরফ থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী ও রাজস্থান কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে শচীন পাইলটকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি শচীন পাইলট ঘনিষ্ঠ দুই মন্ত্রীকেও তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করলো রাজস্থান কংগ্রেস। এর আগে যখন শচীন পাইলটের মান ভাঙানোর চেষ্টা করা হয় তখনই নিজের কিছু দাবির তালিকা তুলে ধরেন ওই নেতা। তাঁর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যতক্ষণ না সমস্ত দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ দলের সান্নিধ্য এড়িয়েই চলবেন তিনি। তারপরেও দলের তরফ থেকে কোন সবুজ সংকেত না মেলায় বিধায়কদের দ্বিতীয় বৈঠকেও উপস্থিত হননি তিনি।
এরপরেই দলের তরফে শচীনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার ভাবনাচিন্তা করা হয়। তখনই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যেসব বিধায়করা জয়পুরের বৈঠকে অংশ নেননি তাঁদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারির ইঙ্গিত দেওয়া হয়।
ওই সূত্রই জানিয়েছে, কংগ্রেস চেয়েছিল শচীন পাইলট আগে বিধায়কদের বৈঠকে যোগ দিন, তারপর তাঁর দাবিদাওয়া নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা হবে। কিন্তু তাতে রাজি হননি রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী।
শচীন পাইলট যে দাবিগুলো তুলে ধরেছেন তার মধ্যে অন্যতম দাবি হল, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের জায়গায় তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বসাতে হবে।
এদিকে কংগ্রেসের একটি সূত্র বলেছে, “রাহুল গান্ধির সঙ্গে আলোচনা করেনি শচীন পাইলট। তাঁর সংস্পর্শেও নেই রাজস্থানের ডেপুটি সিএম। বরং বিজেপির সরাসরি সংস্পর্শে আছেন তিনি। যদিও বিষয়টি তাঁর তরফ থেকে অস্বীকার করা হচ্ছে।”