২০ হাজার টাকায় থাকুন সোনার প্রাসাদে
গ্রীক পুরাণে রাজা মিডাস দেবতার অভিশাপে যা ছুঁতেন সেটাই সোনায় পরিণত হতো। এভাবে একদিন পুরো রাজপ্রাসাদটিই সোনায় মুড়ে গিয়েছিল। এ যুগে রাজা মিডাসের গর্ডিয়াম রাজপ্রাসাদের মিনি সংস্করণ দেখা যেতে পারে ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরে।
জিয়াং ভো লেকের ঠিক পাশে ২৫তলা হোটেলটাই ২৪ ক্যারেট খাঁটি সোনার পাতে মুড়ে ফেলেছেন মালিক মার্কিন উইন্ডহ্যাম হোটেলস কর্তৃপক্ষ। ১১ বছর ধরে তৈরি এই হোটেলটি বিশ্বের একমাত্র হোটেল যেখানে ঢোকার গেট থেকে ৪০০ রুমের প্রতিটিতে বাথরুমের বাথটব, কমোড, বিছানা, ঘরের বাহারি ফিটিংস, বৈদ্যুতিক ফিটিং-সর্বত্রই সোনা ছাড়া কিছু চোখে পড়বে না।
বিকেলের মায়াবি আলোয় ইনফিনিটি পুলে গা ভিজিয়ে হ্যানয় শহরের স্কাইলাইন থেকে টুপ করে সূর্যটাকে জিয়াং ভো লেকে ডুবে যাওয়া দেখতে দেখতে ২২০০ স্কোয়্যার ফুটের পুলের নীচের দিকে তাকালে চমকে যাবেন না। সেটাও কিন্তু খাঁটি সোনার পাতে মোড়া।
আমজনতাকে ‘সোনার সুযোগ’ দিতে ভারতীয় মুদ্রায় ২০,০০০ টাকায় রাত্রিযাপনের জন্যও এখানে ঘর আছে। ডাবল বেডরুম স্যুটে একরাত থাকার খরচ ৭৫,০০০ টাকার কাছাকাছি। প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে থাকার খরচ রাতপিছু ৫ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ছ’ধরনের ঘর রয়েছে। পকেট বুঝে বেছে নিলেই হল। ধনকুবেরদের কথা ভেবে কয়েকটি তলায় বিশেষ কয়েকটি ফ্ল্যাটও বানানো হয়েছে। যা কিনে রেখে দিতে পারেন তাঁরা।
আক্ষরিক অর্থেই, সোনায় মোড়া হোটেলে যাওয়ার সুযোগ কবে পাবেন তা বলা শক্ত। আপাতত জেনে রাখুন, ৫৪,০০০ বর্গফুটের হোটেল প্রেমাইসের বাইরের দেওয়াল পুরোটাই ২৪ ক্যারাট সোনার পাতে মুড়ে দিয়েছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ।
একই ভাবে ঘরের মধ্যেও যে দিকে তাকাবেন, আসবাবপত্র থেকে দেওয়াল, সে দিকেই তাকাবেন, দেখবেন ‘সোনার টুকরো’। ওয়াশ-রুমেও বাথটব, বেসিন, সিঙ্ক, শাওয়ার, সবকিছুই ‘সোনালি’ ঝলকে চমকে দেবে আপনাকে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মনোবীদ বিশেষজ্ঞরা তাঁদের জানিয়েছিলেন, চারপাশে সোনার ঝলক ‘কষ্ট’ ভুলিয়ে দেয়। যার পরই এ ভাবে হোটেল বানানোর কথা ভেবেছিলেন তাঁরা।