রেলের কামরায় এবার থেকে হ্যান্ডস ফ্রি ব্যবস্থা
রেলের কামরার ওয়াশ বেসিনের কল খোলাই হোক বা ফ্লাশ টেপা। এমনকী শৌচালয়ের দরজা খুলতেও আর হাত লাগাতে হবে না যাত্রীদের। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমূল বদলাচ্ছে ট্রেনের কোচ। আসছে ‘হ্যান্ডস ফ্রি’ ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, ট্রেনের দরজার হ্যান্ডরেল এবং ল্যাচে থাকবে জীবাণু প্রতিরোধী কপার কোটিং। থাকবে এয়ার পিউরিফায়ার। বদলাবে আসনও।
রেল জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই কাপুরথালার রেল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি হয়েছে এইধরনের মডেল ট্রেন কোচ। সারা দেশে যখন ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হবে, তখন ধাপে ধাপে এই নতুন কোচের ব্যবহার শুরু করবে রেল। উদ্দেশ্য একটাই, সংক্রমণের সম্ভাবনাকে শূন্যে নামিয়ে আনা। রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, নতুন ধরনের কোচে পা দিয়ে চাপ দিলেই ওয়াশ বেসিনের কল থেকে জল পড়বে, পায়ের চাপে বেরিয়ে আসবে সাবানও। একই কায়দায় খোলা-বন্ধ করা যাবে শৌচালয়ের ফ্লাশ থেকে দরজা। আর কপার কোটেড হ্যান্ডরেল এবং ল্যাচের ভূমিকা কী? উত্তরে রেল বোর্ড জানিয়েছে, কোনও ধাতব বস্তুতে তামার পরত থাকলে তা জীবাণুনাশকের কাজ করে। এমনিতেই করোনা ভাইরাস ধাতব বস্তুতে বেশিক্ষণ বেঁচে থাকে। ফলে ট্রেনের দরজার হ্যান্ডরেল এবং ল্যাচ থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। সেক্ষেত্রে কপার কোটিং ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যত বর্ম বা ঢালের মতো কাজ করবে। একই ধরনের কোটিং থাকবে কামরার আসনেও।
তবে, কপারের বদলে থাকবে টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইডের কোটিং। এটি মূলত একটি পরিবেশবান্ধব ওয়াটার-বেসড কোটিং। যা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করার পাশাপাশি বাতাসও শুদ্ধ রাখে। এই কোটিং মানবশরীরের পক্ষে ক্ষতিকারকও নয়। তাই শুধুমাত্র বার্থ বা আসনে নয়, স্ন্যাকস টেবিল, গ্লাস উইন্ডো, শৌচালয়, ওয়াশ বেসিনেও এই কোটিং দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রেল বোর্ড। একবার কোটিং দিলে তার মেয়াদ থাকবে ১২ মাস। তবে, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে রেলের প্রতিটি কোচে, বিশেষ করে এসি কোচগুলিতে প্লাজমা এয়ার পিউরিফিকেশন যন্ত্রের ব্যবহার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই যন্ত্র এসি কোচের ভিতরের বাতাসকে জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করবে।