উত্তরবঙ্গের ৫ শহরে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন আজ থেকে
১৫ জুলাই অর্থাৎ বুধবার থেকে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা ও রায়গঞ্জ শহরে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন শুরু হচ্ছে। এবার লকডাউন হবে ‘টাউন ওয়াইড’ অর্থাৎ শহরব্যাপী। সোমবার রাজ্য সরকারের তরফে চিঠি দিয়ে নির্দেশের কথা জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। বিশেষত মালদা, দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে প্রতিদিনই সংক্রামিতের হদিস মিলছে। উত্তরবঙ্গে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা মালদা জেলার। সেখানে এখনও পর্যন্ত ১২০৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এছাড়া উত্তর দিনাজপুরে ৪৬০, কোচবিহারে ৩৫০, জলপাইগুড়িতে ৫৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শিলিগুড়িতেও হু হু করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। দার্জিলিং জেলায় সংক্রামিতের সংখ্যা প্রায় হাজার।
এই পরিস্থিততে ১৫ জুলাই অর্থাৎ বুধবার থেকে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা ও রায়গঞ্জে শহরব্যাপী লকডাউন শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের তরফে এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের নির্দেশ মোতাবেক ব্যবস্থা নিচ্ছেন জেলাশাসকরা। সংক্রমণ রুখতে এর আগে রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এবার উত্তরের পাঁচ শহরে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন শুরু হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডে লকডাউন হচ্ছে। জেলা শাসক অভিষেক তেওয়ারি জানিয়েছেন, বুধবার বিকেল ৫টা থেকে লকডাউন কার্যকর হবে। দুপুরে মাইকিং করে বিষয়টি সাধারণ মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হবে। কোচবিহার শহরেও সম্পূর্ণ লকডাউন হচ্ছে। জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানিয়েছেন, কোচবিহার শহরে কঠোরভাবে লকডাউন চলবে। সদর মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল জানান, শুধু অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা চালু থাকবে। মাইকিং করে ও সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্যমে গোটা শহরে লকডাউনের বিষয়টি প্রচার করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, মালদায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। মালদা শহরেও বুধবার থেকে কড়া লকডাউন হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি রায়গঞ্জ শহর অর্থাৎ রায়গঞ্জ পুরসভার ২৭টি ওয়ার্ডে সম্পূর্ণ লকডাউন হবে। তবে জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। রায়গঞ্জ পুরসভা, পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে বিষয়টি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ মানুষকে জানানো হয়েছে। শিলিগুড়িতেও লকডাউন থাকছে। তবে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে কিছু ছাড় মিলবে।