রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

একাদশে ও স্নাতকে ভর্তি শুরু অগস্ট থেকেই

July 16, 2020 | 2 min read

পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৩৯ দিন পর, বুধবার প্রকাশিত হয়েছে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। মাধ্যমিক পরীক্ষার পর এত দেরিতে রেজাল্ট বেরোনোর নজির সাম্প্রতিক অতীতে নেই। করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারণেই এই বিলম্ব। কাল, শুক্রবার উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল বেরোবে। কিন্তু রেজাল্ট বেরোনোর পর? একাদশে, কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কী ভাবে? এই নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে। বুধবার অবশ্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়— তিনটি স্তরেই ভর্তি নিয়ে দিশা দেখালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনটি স্তরেই ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে অগস্ট মাসে। অর্থাৎ, ফল প্রকাশের পর আরও কিছু দিন ভর্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে পড়ুয়াদের। রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি অপেক্ষায় থাকবে আইসিএসই, সিবিএসই বোর্ডের পড়ুয়ারাও।

করোনা সংক্রমণের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সেই যে লকডাউনের আগে তালা পড়েছে, তার পর আনলকেও খোলেনি স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, একাদশে ভর্তির প্রক্রিয়া অগস্ট মাসে শুরু হবে। অগস্টেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভর্তি সংক্রান্ত পরামর্শ দেবে উচ্চশিক্ষা দপ্তর।

এ দিন শিক্ষামন্ত্রী জানান, মাধ্যমিক পাশ করে যে পড়ুয়ারা একাদশে নিজের স্কুলেই ভর্তি হতে চায়, তাদের ১ থেকে ১০ অগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হচ্ছে। আর যারা নিজের স্কুল থেকে অন্য স্কুলে যেতে চায় তাদের ১১ থেকে ৩১ অগস্টের মধ্যে ভর্তি হতে হবে। সেই ভাবেই ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে স্কুলগুলো। শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, ‘ভর্তি নিয়ে কারও কোনও অসুবিধে হবে না। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই পদক্ষেপ করা হবে।’

মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য একাদশে ভর্তি হতে প্রত্যাশীদের অনেকে স্কুলে স্কুলে খোঁজ নিতে শুরু করেছে। এ দিন শহর ও জেলার অধিকাংশ স্কুলই করোনার জন্য বন্ধ ছিল। অন্যান্য বছরের মতো ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে মার্কশিট এ বার স্কুলগুলোকে দিতে পারেনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আগামী ২২ ও ২৩ জুলাই পর্ষদের ক্যাম্প অফিস থেকে মার্কশিট দেওয়া হবে। উচ্চ মাধ্যমিকেরও মার্কশিট দেওয়া হবে ৩১ জুলাই থেকে।

সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশিত হলে তবে স্কুলগুলো অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক করবে এবং তার পর ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তারা জানাতে পারবে। স্কুলে ভর্তির আগে, এমনকী মার্কশিট বিলির সময়েও যাতে ক্যাম্পাস যথাযথ ভাবে জীবাণুমুক্ত রাখা হয়, সেই ব্যাপারে জেলাশাসক ও জেলা স্কুল পরিদর্শকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্প অফিসগুলোকেও যথাযথ ভাবে স্যানিটাইজ করানোর কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী।

তবে একই সঙ্গে পার্থ জানিয়েছেন, স্কুলে মার্কশিট নিতে বা ভর্তি হতে কোনও পড়ুয়াকে সশরীরে ক্যাম্পাসে আসার প্রয়োজন নেই। অভিভাবকরাই প্রমাণ দেখিয়ে মার্কশিট নিতে পারবেন। ভর্তির ক্ষেত্রেও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেবে স্কুল। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, ‘যেমন করে মিড ডে মিল বা ত্রাণসামগ্রী স্কুল থেকে পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তেমন করেই অভিভাবকরা অ্যাডমিট কার্ড দেখিয়ে মার্কশিট নেবেন। ভর্তির সময়েও অভিভাবকদের কাছে থাকা মার্কশিট দেখেই স্কুল ভর্তি নিতে পারবে।’

কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ বছরও কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইন ভর্তি হচ্ছে না। কলেজ ভিত্তিক অনলাইনেই ভর্তি হবে। গত বছর থেকে সরকার সরাসরি ক্যাম্পাসে এসে ভর্তির ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে। সেই পরিকাঠামো তৈরি আছে। এ বছর অতিমারীর সময়ে সেই পরিকাঠামো ব্যবস্থার কঠোর প্রয়োগ কাজে আসবে। আবেদনপত্র সংগ্রহ, জমা করা, সিলেকশনের পর ব্যাঙ্কে গিয়ে অথবা অনলাইনে টাকা জমা করবে পড়ুয়ারা। পার্থ বলেন, ‘আসল নথি একেবারে সে দিন যাচাই করা হবে, যে দিন কলেজে ছাত্রছাত্রীরা প্রথম ক্লাস করতে যাবে। তখন নথিতে কোনও গোলমাল দেখা গেলে কলেজ ব্যবস্থা নেবে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#11 and graduation admission, #August, #partha chatterjee

আরো দেখুন