স্বাস্থ্য বিভাগে ফিরে যান

ধারাভি মডেল হলে বেলগাছিয়া নয় কেন? হু-কে চিঠি তৃণমূল সাংসদের 

July 16, 2020 | < 1 min read


সম্প্রতি বাংলায় করোনা সংক্রমণের নিরিখে ব্যপক হারে এগিয়ে রাজধানী কলকাতা সহ, পার্শ্ববর্তী জেলা উত্তর ২৪ পরগণা এবং হাওড়া। রাজ্যে মোট করোনা সংক্রমণের ৩০ শতাংশই পাওয়া গেছে কলকাতায়। এই শহরে সব শ্রেণীর বাস। বস্তি থেকে হাই-রাইজ – সবই পাওয়া যাবে কলকাতায়। 

মুম্বাইয়ের যেমন আছে ধারাভি, তেমনি কলকাতার আছে বেলগাছিয়া বস্তি। যদিও ধারাভির থেকে আয়তনে অনেক ছোট, কিন্তু এটিও কলকাতার সব থেকে বড় এবং সব থেকে বেশি ঘন বস্তি। ধারাভিতে ২৩০০ সংক্রমণ ধরা পড়লেও বেলগাছিয়ায় সেই সংখ্যা মাত্র ১৪। তার মধ্যে ১২ জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।

তৃণমূল সাংসদ এবং বেলগাছিয়ার স্থানীয় কাউন্সিলর ডাঃ শান্তানু সেন বেলগাছিয়া বস্তিতে কোভিড নিয়ন্ত্রণের কাজের স্বীকৃতি চেয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (হু) চিঠি লিখেছেন। হু সম্প্রতি মুম্বাইয়ের ধারাভী বস্তিতে কোভিডের নিয়ন্ত্রণের প্রশংসা করেছে। তৃণমূল সাংসদও অনুরূপ স্বীকৃতি ও প্রশংসা প্রত্যাশা করছেন। 

হু-এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধিকে একটি চিঠিতে তিনি লিখেছেন: “কলকাতা পৌর পুরসংস্থার ৯৩ নং ওয়ার্ডের বেলগাছিয়া বস্তির কোভিড -১৯ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসংস্থা আরো ভালো ভূমিকা পালন করেছে।” এবং চিঠির সাথেই বেলগাছিয়া এবং ধারাভি বস্তির একটি তুলনামূলক গবেষণাপত্রও পাঠিয়েছেন।  

কলকাতা পুরসংস্থা শুরু থেকেই বেলগাছিয়া বস্তির ওপর সব থেকে বেশি আলোকপাত করেছে। আইসিএমআর-এর গাইডলাইন মেনে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং নিরাপত্তার দিকে ভীষণ ভাবে নজর রাখা হয়েছে। র‍্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট থেকে সতর্কতা হিসেবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া – সবটাই হয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে সরকারের তরফ থেকে সচেতনতার প্রচারও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা পালন করেছে।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#India, #Kolkata, #Dharavi, #Corona Control

আরো দেখুন