সিবিএসই দ্বাদশের রেজাল্ট হুবহু এক দুই যমজ বোনের
সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার বিজ্ঞান শাখায় একেবারে এক নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে নয়ডার দুই যমজ বোন মানসী ও মান্য। দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বরের হার ৯৫.৮ শতাংশ।
জন্মলগ্নে ৯ মিনিটের ব্যবধান ছিল তাদের মধ্যে। তাছাড়া আর কোনও পার্থক্য নেই। চেহারা, গলার স্বর, পছন্দ-অপছন্দ, সবেতেই মিল মানসী আর মান্যর। ফ্যাট জাতীয় খাবারে দুজনেরই আপত্তি রয়েছে। ব্যাডমিন্টনের প্রতি দুর্বার আকর্ষণ। তাদের এই মিল বজায় থাকল সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির রেজাল্টেও।
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2020/07/HS-JORA-RESULT-1024x576.jpg)
পরীক্ষার ফলে দারুণ খুশি মানসী বলেছে, ‘আমার ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। পাঁচটা বিষয়ে আমাদের নম্বর এক। মান্য খুব খেটেছে। ও আরও ভালো ফল আশা করেছিল। শেষপর্যন্ত আমরা একই নম্বর পেলাম। আমরা একসঙ্গে পড়তাম। কোনও সমস্যা হলে একজন অন্যজনকে বুঝিয়ে দিতাম। মান্য পদার্থবিদ্যায় দারুণ ভালো। আমার দখল রসায়নবিদ্যায়।‘
গ্রেটার নয়ডার অ্যাস্টর পাবলিক স্কুলের এই দুই ছাত্রীর নম্বর নিয়ে রেষারেষি অনেকের চোখে পড়েছে। দুজনের মুখাবয়ব, চেহারার মিলে দুই বোনকে প্রায়ই গুলিয়ে ফেলতেন স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল জয়বীর ডাগর। তিনি বলেন, ‘ওদের নম্বর দেখার সময় মনে হচ্ছিল, স্কুলের ক্ষেত্রে এ যেন ‘রিপ্লেস বিলিভ ইট অর নট’ ঘটে গিয়েছে। দুই বোন ইংরেজি, কম্পিউটারে ৯৮ পেয়েছে। পদার্থ, রসায়ন ও শারীরবিদ্যায় ৯৫ নম্বর পেয়েছে।‘
মানসী, মান্যর সাফল্যে গর্ব অনুভব করছেন তাদের মা ও বাবা। গ্রেটার নয়ডা পশ্চিম-এর বাসিন্দা সামরিক বাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত সুচেতন রাজ সিং বলেন, ‘মা-বাবার সঙ্গে এই সুখবর ভাগ করে নিতে আমরা হাথরাসে এসেছি। দাদু, দিদার সঙ্গে কাটাচ্ছে দুই বোন। আনন্দ প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।‘ মা বিজয়া সিং বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য দুজনেই খুব পরিশ্রম করছে। আশা করি ওরা সফল হবে।‘