করোনা যুদ্ধে সবাইকে চাই: মমতা
বুধবার করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে যে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, একঝলকে সেগুলি:
করোনা-যোদ্ধাদের পাশে
পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার, ডাক্তার, নার্স, আশা কর্মী, পুরসভার সাফাই কর্মীর মতো যে যোদ্ধারা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে দশ লক্ষ টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। পরিবারের একজনকে চাকরিও দেওয়া হবে। আর করোনায় আক্রান্ত হলে এক লাখ টাকা করে সহায়তা পাওয়া যাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ৪১৫ জন করোনা-যোদ্ধা এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ১২ জন। বাকিরা সুস্থ। আক্রান্তদের মধ্যে ২৬৮ জন পুলিশ, চিকিৎসক ৩০ জন, নার্স ৪৩ জন ও সরকারি কর্মী ৬২ জন। এখনও পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে ২৮৪ জন ১ লাখ টাকা করে সহায়তা পেয়ে গিয়েছেন। মৃত ১২ জনের পরিবার দশ লাখ টাকা করে পাচ্ছেন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত এ বাবদ সরকার ৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা খরচ করেছে।
সম্মান যোদ্ধাদের
সরকারি স্তরে কোভিড যোদ্ধাদের প্রত্যেককে তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে বিশেষ শংসাপত্র ও মেডেল দেবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বুধবার রাজ্যের ১৪টি জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার তাঁদের জেলার কয়েক জন করে কোভিড-যোদ্ধার হাতে ওই শংসাপত্র ও ব্যাজ তুলে দেন। প্রয়াত কোভিড-যোদ্ধাদের পরিজনদের হাতেও তা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, কলকাতা পুলিশের তরফে সিপি অনুজ শর্মা এবং রাজ্য পুলিশের তরফে ডিজি বীরেন্দ্রও এদিন নবান্ন সভাগৃহে শংসাপত্র ও পদক নেন। মুখ্যমন্ত্রী চান, বেসরকারি হাসপাতালের কোভিড-যোদ্ধাদেরও শংসাপত্র ও মেডেল দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ নেন, আশা কর্মীরা চাদর পেয়েছেন কি না। তাঁদের বারবার বলেন, ‘কাজ সেরে বাড়ি ফিরে এগুলো ডেটল জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেবেন।’
জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক
প্রতিটি জেলার জেলাশাসক ও এসপি-রা যেন সংশ্লিষ্ট অফিসার ও কর্মীদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু করে দেন, এই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর যুক্তি, ‘মাস দুয়েকের মধ্যে পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হবে, তখন আবার জেলায় জেলায় আগের মতো প্রশাসনিক বৈঠক হবে। তার আগে ডিএম-রা তাঁদের বিডিও ও অন্য অফিসারদের নিয়ে ভার্চুয়াল মিটিং করুন। এসপি-রা আইসিদের সঙ্গে একই ভাবে বৈঠক করুন। এই সব বৈঠকের রিপোর্ট আমায় পাঠান।’
নোংরা রাজনীতি
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইটা সকলেরই, শুধু সরকারের নয়। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, ‘এটা ডার্টি পলিটিক্সের সময় নয়। কোনও কোনও দল শুধু রাজনীতিই করছে। আপনারা দয়া করে আর্টিফিসিয়াল ক্রাইসিস তৈরি করবেন না। আমরা কোনও অন্যায় করতে দিই না।’
নবান্ন সভাঘরে করোনা যোদ্ধাদের জন্য মেডেল দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী