ভারতে মোট করোনা আক্রান্ত ১০ লক্ষ ছাড়াল, মৃতের সংখ্যা ২৫ হাজার
ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃহস্পতিবার ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। এদিন রাত সাড়ে ৯টায় সংবাদসংস্থা PTI-এর পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লক্ষ ২০২ জন। সেইসঙ্গে এই মারণ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২৫ হাজারের গণ্ডি টপকে গিয়েছে। দেশের মধ্যে কেরালায় গত ৩০ জানুয়ারি প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়।
ভারতের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সর্বাধিক আক্রান্তের ঘটনা সামনে এসেছে। পশ্চিমের এই রাজ্যে এদিন নতুন করে আরও ৮ হাজার ৬৪১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ২৮১ জন। এই রাজ্যে মৃত্যুর ঘটনাও সর্বোচ্চ। PTI-এর পরিসংখ্যান অনুসারে, মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত এই মারণ ভাইরাসের বলি হয়েছেন ১১ হাজার ১৯৪ জন।
আক্রান্তের সংখ্য়ার নিরিখে মহারাষ্ট্রের পরেই তামিলনাড়ু। দক্ষিণের এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৩৬৯ জন। রাজ্যগুলির মধ্যে তৃতীয় স্থানে দিল্লি। রাজধানীতে কমপক্ষে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৪৫ জন কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন।
সংক্রমণের নয়া রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে কর্নাটকে। রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৬৯ জন।
এর মধ্যে আশঙ্কার তথ্য উঠে এসেছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের (IISc) সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে। তাদের সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতে করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন ৩৫ লক্ষ মানুষ! শুধু তাই নয়, করোনার সংক্রমণের সঙ্গে-সঙ্গে মৃত্যুমিছিলও দ্রুত দীর্ঘ হবে। সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, সেপ্টেম্বরের শুরুর মধ্যেই দেশে মৃত্যু হতে পারে ১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের। তবে, দেশে যদি করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে বাঁধ দেওয়া যায়, তাহলে হয়ত কিছুটা কমানো যেতে পারে সংখ্যা।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের রিপোর্ট মোতাবেক, খুব ভালোভাবে সংক্রমণ রোখার চেষ্টা হলেও দেশে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আক্রান্ত হতে পারেন ২০ লক্ষ মানুষ! কিন্তু সে সময়ও দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা থাকবে প্রায় ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার। খুব কম করে হলেও মৃত্যু হবে দেশের ৮৮ হাজার বাসিন্দার।