কেমন ছিল বিজন-মহাশ্বেতার প্রেমের বিয়ে?
তখনও মঞ্চে অভিনয় করছেন বিজন, যখন নবারুণের জন্ম হয়। ১৯৪৮ সালে জন্ম হয় নবারুণ ভট্টাচার্যের। সেইসময় বিজন সদ্য গণনাট্য ছেড়েছেন। মহাশ্বেতা-বিজন তখন ভাড়াবাড়িতে। একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা।
ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। বাড়িতে রান্নার চালটুকুও নেই। কিন্তু বিজন বাড়িতে কখনও সাপুড়ে, কখনও লোকগায়ক, কখনো বা বাউলদের ধরে আনছেন। প্রবল অনটনেও তাঁর শিল্পী স্বত্বা মরে যায়নি। অন্য দিকে ক্রমশ দূরে চলে যাচ্ছেন মহাশ্বেতা। সম্পর্কে ভেঙ্গে যাচ্ছে।
তখন নবারুণ ৬-৭ বছরের। পরবর্তীতে তিনি স্মৃতি রোমন্থন করে বাড়িতে প্রতিদিনের অশান্তির কথা বলেছেন। শেষ দিনের সেই ঘটনাও মনে ছিল নবারুণের। ভালবেসে মহাশ্বেতাকে নাকি একটা বালা কিনে দিয়েছিলেন বিজন। বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময় সেই বালা বিজনের কপালে ছুড়ে মেরেছিলেন মহাশ্বেতা।
নবারুণ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছিলেন এক দিকে তাঁর বাবার কপাল থেকে গলগল করে রক্ত পড়ছে, অন্য দিকে এক কাপড়ে বাড়ি ছাড়ছেন তাঁর মা। বড় হওয়ার পরে নবারুণকে নাকি বিজন বারবার বলেছেন, মহাশ্বেতার অন্য সম্পর্ক ভাল ভাবে মেনে নিতে পারেননি তিনি।
মহাশ্বেতা চলে যাওয়ার পরে বিজন আর কখনও অন্য কোনও সম্পর্কে জড়াননি। বাকি জীবন কাটিয়েছেন ছেলে নবারুণকে নিয়ে।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: আনন্দবাজার পত্রিকা