শ্যুটিং সামলে উচ্চ মাধ্যমিকে ৮৩ শতাংশ নম্বর! আনন্দে উচ্ছসিত ‘রানিমা’
রাতদিন অভিনয়ের ফাঁকে পড়াশোনা করে উচ্চমাধ্যমিকে ৮২ শতাংশ নম্বর! এবং ইংরেজিতে লেটার মার্কস? এমন অসম্ভবও সম্ভব করলেন ‘রানি রাসমণি’ খ্যাত দিতিপ্রিয়া রায়। বিকেলে অনলাইনে ছক্কা হাঁকানোর খবর আসতেই সেলিব্রেশন শুরু। মা আর দিদিকে নিয়ে রানিমা তক্ষুণি বাবুঘাটে গঙ্গার পাড়ে, হাওয়া খেতে। আনন্দকে নিরালায় ভাগ করে নিতে চান দিতিপ্রিয়া। আনন্দবাজার ডিজিটাল গঙ্গার ঘাটে বেড়ানোর ছবি চাইলেও নরম গলায় বলেন তিনি, ‘‘আজ একটু আলাদা হয়ে মা আর দিদির সঙ্গে এই মুহূর্ত ভাগ করে নিই?’’
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে জানানো হয়েছিল, ১৭ জুলাই বিকেলে অনলাইনে প্রকাশিত হবে হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষার রেজাল্ট। কী করেছেন সকালে দিতিপ্রিয়ার মা?‘‘খুব টেনশন ছিল। এত ভাল করবে ভাবিনি। তবে টেনশন দেখাইনি ওকে। ওর কাছে মা-ই সব। আমি ভাঙলে ও ভেঙে পড়বে।কিন্তু ভোর পাঁচটায় উঠে পাবদা আর চিংড়ি মাছ রেঁধে রেখেছিলাম,’’ খুশির গলায় বললেন সুদীপ্তা রায়।
রেজাল্ট বেরোনর পরে ঠিক কী করেছিল ‘রানিমা’? ‘‘‘সকাল ৮টায় শুটিংয়ে গিয়েছিল। সাড়ে ১২ টার সময় নিজের চাপে শুটিং স্পট থেকে বেরিয়ে এসেছে দিতিপ্রিয়া। টেনশনে আমার ততক্ষণে হাত-পা কাঁপছে। বিকেলে অনলাইনে রেজাল্ট পেয়ে খুশিতে ফেটে পড়ে মেয়ে!’’ আনন্দে হাঁফাতে হাঁফাতে উত্তর দিলেনদিতিপ্রিয়ার মা।
কোন বিষয়ে সেরা রানিমা? মায়ের থেকে উত্তর এল, ‘‘ইংরেজিতে লেটার মার্কস পেয়েছে। মাধ্যমিকেও ইংরেজিতে লেটার মার্কস পেয়েছিল।’’ তাহলে কি ইংরেজিতেই অনার্স পড়বে দিতিপ্রিয়া? ইংরেজি আর সোশিওলজি, আপাতত দু’টি বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। ঠিক করা হয়নি কিছুই, মত অভিনেত্রীর মায়ের।
বাবুঘাটে মা-দিদিকে নিয়ে মজা করতে গেলেও বাইরের কোনও খাবার দাঁতে কাটেননি দিতিপ্রিয়া। বরং সকালে বাড়িতে কব্জি ডুবিয়ে খেয়েছেন চিংড়ি আর পাবদা মাছ। মেগার টিআরপি নিয়ে টেনশন থাকলেও আপাতত ভাল রেজাল্টের আনন্দেই ডুব দিয়েছেন রানিমা। ভীষণ খুশি টিম ‘রানি রাসমণি’ও। শনিবার ফ্লোরে গেলে করোনাকালের সব নিয়ম মেনে সেলিব্রেশনও হতে পারে!