রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অমর্ত্য সেনের আসনে মমতাকে বসালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার
মুখ্যমন্ত্রী তোপ দাগার পরের দিনই তাঁকে নিয়ে নরম সুর শোনা গেল রাজ্যপালের গলায়। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অর্মত্য সেনের সঙ্গে একই আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসালেন। শুক্রবার বীরভূমের মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়ায় শহিদ রাজেশ ওরাংয়ের বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার বলেন, রাজেশ ওরাং বীরভূমকে বীর ভূমির মর্যাদা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বীরভূমের মাটি সমৃদ্ধ। বালি, কয়লা, খড়ি মাটির ভাণ্ডার রয়েছে জেলায়। তাছাড়া রাজেশ ওরাং বীরভূমের সুপুত্র। এখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেছেন। ৫১টির মধ্যে পাঁচটি সতীপীঠও রয়েছে। তাছাড়া নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন ও আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এখানকারই। এখানেই গীত-গোবিন্দ লেখা হয়েছিল। এমন কোনও জীবন দর্শন নেই যা এই জেলা থেকে শুরু হয়নি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত চরমে পৌঁছয়। রাজ্যপাল তোপ দাগার পর মুখ্যমন্ত্রীও সাংবাদিক বৈঠকে মুখ খোলেন। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই মুখ্যমন্ত্রীকে মহান ব্যক্তিদের সঙ্গে একই সারিতে বসালেন রাজ্যপাল। তিনি অবশ্য চলতি ইস্যু নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
উল্লেখ্য, গত মাসে লাদাখে চীনা ফৌজের হামলায় শহিদ হন বেলগড়িয়ার জওয়ান ২৬ বছরের রাজেশ ওরাং। শহিদকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজ্যের বিশিষ্টরা তাঁর গ্রামে আসেন। এবার শুক্রবার সস্ত্রীক রাজ্যপাল শহিদের বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান অনিল চৌহান। এদিন সকালে কলকাতা থেকে তাঁরা হেলিকপ্টারে সিউড়ির চাঁদমারি মাঠে এসে নামেন। সেখান থেকে তাঁরা গাড়িতে বেলগড়িয়ায় শহিদের বাড়ি যান। শহিদ রাজেশের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। পরে পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেন। তাছাড়া এদিন পরিবারকে একটি চেক ও মাস্ক দেওয়া হয়। এদিন রাজেশের বাড়ির পিছনে একটি ছাউনি করা হয়েছিল। সেখানে প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে রাজ্যপাল বৈঠকও করেন। সেখানে মহকুমা শাসক ও বিডিওর সঙ্গে তিনি কথা বলেন। পরে সাংবাদিকদের রাজ্যপাল বলেন, সেনার তরফে আমাকে পূর্ণ সুবিধা দিয়ে এখানে আনা হয়েছে। এদিন রাজেশের পরিবারের সঙ্গে যা কথা বলার বলেছি। রাজেশ দেশের কাছে প্রেরণা।