চড়া বিদ্যুতের বিল নিয়ে CESC-কে ‘অ্যাডভাইজরি’ দিচ্ছে রাজ্য
জুনের বিলে কারেন্ট। সিইএসসির কর্তাদের গলায় নানা যুক্তি। তাঁদের দাওয়াই, ইএমআই। কিন্তু, বহু গ্রাহকই তাতে রাজি নন। গড়ে ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিল আসে এমন অনেক গ্রাহকদের জুন মাসের ইলেকট্রিক বিল এসেছে ৯ হাজার টাকা ৷ দক্ষিণ কলকাতার এক গ্রাহকের কথায়, ‘‘আম্পানের সময় ১৫ দিন কারেন্ট ছিল না। কনজামশন বন্ধ ছিল। পাগল হয়ে গিয়েছে সিইএসসি। নিজেদের ঘর ভরাচ্ছে। এত বেশি টাকা দেব না ৷
চড়া বিদ্যুতের বিল নিয়ে সিইএসসি-কে ‘অ্যাডভাইজরি’ দিচ্ছে রাজ্য ৷ সূত্রের খবর, সেখানে এক মাসের মধ্যে বিলের ভুলচ্রুটি সংশোধন করতে বলা হয়েছে ৷ চড়া বিলে মানুষের ক্ষোভ ভাড়ছে ৷ উত্তর কলকাতার এক গ্রাহকের কথায়, ‘‘ ইনস্টলমেন্টের টাকা কোথা থেকে দেব। ন্যায্য চাওয়া হলে দিতে রাজি। কিন্তু, সিইএসসি জোরজুলুম করে বিল চাইছে। ৯ হাজার টাকার বিল কোথা থেকে এল।’’
কলকাতায় এমন এক জন সিইএসসি গ্রাহকেরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যার জুন মাসের বিল এসেছে ১ লক্ষ ৭ হাজার ৭০০ টাকা ৷ আগের মাসের বিল ছিল ১১,২৩০ টাকা ৷ সেই বাড়িতে এক লাফে এক লক্ষ টাকা কী করে ? সিইএসসির গলায় নানা সাফাই। তারা বলছে, জুন মাসের বিল দেওয়া যাবে ইনস্টলমেন্টে। কিন্তু, এ সবে চিঁড়ে ভিজছে না। অনেকেরই দাবি, জুনের বিল একেবারে ভূতুড়ে।
এবার তাই ইলেকট্রিক বিল নিয়ে আসরে নেমেছে রাজ্য ৷ একমাসের মধ্যে বিলের ভুল সংশোধন করার কথা বলা হয়েছে ৷ পাশাপাশি কী নিয়মে এবং কোন হিসেবে বিদ্যুতের বিল তৈরি করা হচ্ছে, তার বিস্তারিত ও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে আজ, শনিবারের মধ্যে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়ার নির্দেশও সিইএসসিকে দিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ৷