অবস্থা ভালো নয়, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতে: IMA
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তাতে দেশ জুড়ে শুধুই আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মধ্যে আরও উদ্বেগের খবর শোনাল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।
শুক্রবার তারা জানিয়েছে, ভারতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। আইএমএ হসপিটাল বোর্ড অফ ইন্ডিয়ারে চেয়ারপার্সন ড. ভিকে মংগা বলেন, ‘বর্তমানে সংক্রমণ ক্রমশ ব্যাপক হারে বেড়ে চলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০,০০০ করে বাড়ছে। এটা সত্যই খুব খারাপ পরিস্থিতি। গ্রামাঞ্চলে করোনা ছড়াতে শুরু করেছে। এটা খারাপ লক্ষণ। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গিয়েছে।’
একদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক দাবি করেছে যে ভারতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়নি। এরই মধ্যে আইএমএ-র এই বিবৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বে আমেরিকা ও ব্রাজিলের পরই তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। শনিবার সকালের বুলেটিন অনুযায়ী, স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বমোট ১০,৩৮.৭১৬। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে গিয়েছে ৬,৫৩,৭৫১।
ড, মংগা আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন।’ তিনি জানিয়েছেন, দিল্লির মত জায়গায় হয়ত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরল, গোয়া কিংবা মধ্যপ্রদেশের মত রাজ্যে প্রত্যন্ত এলাকায় কীভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে, তা কেউ জানে না।
তাঁর মতে, রাজ্য সরকারগধলিকে খুব তৎপরতার সঙ্গে সবকিছু সামলাতে হবে, প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য চাইতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘এই ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। এর থেকে ব২আচার দুটোই উপায় রয়েছে। এক, আক্রান্ত হওয়ার পর ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যাওয়া ও দুই, টিকা দেওয়া।
এই বিষয়ে ভারতীয় জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রেসিডেন্ট তথা আইসিএমআর’এর কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কে. শ্রীনাথ রেড্ডি জানিয়েছেন, প্রতিদিন যেভাবে দেশে করোনার জীবাণু ছড়াচ্ছে তাতে সরকার যদি আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহন না করে তাহলে ফল আরও ভয়ানক হবে। শুধু সরকারই নয় করোনা সম্পর্কে সাধারণ মানুষজনকে হতে হবে আরও সচেতন মানতে হবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা তবেই কিছুটা হলেও রোধ করা যাবে করোনার প্রকোপ।
শুক্রবার সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন,” সারা দেশে যেভাবে সংক্রমণের হার বাড়ছে তাতে আমাদের উচিত সরকারি নির্দেশিকা সঠিক ভাবে পালন করা এবং সংক্রমণের চেন ভাঙতে সহায়তা করা।”