উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

করোনার দাপট! পুলিসকর্মীদের জন্য ১০টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু উত্তরবঙ্গে

July 19, 2020 | 2 min read

উত্তরবঙ্গে করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন শতাধিক পুলিসকর্মী। শুধু তাই নয়, কোচবিহারে দুই অতিরিক্ত জেলাশাসক সহ ১০ জন আধিকারিক, শিলিগুড়িতে দমকলকর্মী, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে ‘গুপ্ত ভাইরাসের’ বিরুদ্ধে লড়াই চালানো নিয়ে অনেকে রীতিমতো উদ্বিগ্ন। সংক্রমণ রুখতে জেলায় জেলায় পুলিসকর্মীদের জন্য চালু করা হয়েছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা অবশ্য জানিয়েছেন, পুলিস ও প্রশাসনের কয়েকজন আধিকারিক ও কর্মী আক্রান্ত হলেও ভেঙে পড়ার কিছু নেই। মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রয়েছে।

রাজ্য পুলিসের উত্তরবঙ্গের আইজি বিশাল গর্গ বলেন, করোনা মোকাবিলায় পুলিস সুপারদের সতর্ক করা হয়েছে। মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা প্রভৃতি বিষয়ে জোর দিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিস কর্মীদের সুরক্ষার জন্য জেলাগুলিতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়া হয়েছে।

উত্তরবঙ্গের কোচবিহার থেকে মালদহ পর্যন্ত আট জেলায় করোনার দাপট অব্যাহত। বর্তমানে ভিন রাজ্য কিংবা বিদেশ সফর করে আসা মানুষদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও আক্রান্ত হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, প্রশাসন, পুলিস, দমকলকর্মী, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের শরীরেও থাবা বসিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। পুলিস ও প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের আট জেলায় কিছুদিনের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৬ জন পুলিসকর্মী। এমন আক্রান্তের সংখ্যা মালদহ জেলাতে সবচেয়ে বেশি। ১২৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর বাইরে দার্জিলিংয়ে ১, জলপাইগুড়িতে ৮ , কালিম্পংয়ে ৫ , দক্ষিণ দিনাজপুরে ২২, রায়গঞ্জে ৪, শিলিগুড়ি জিআরপি ও কমিশনারেট এলাকা মিলিয়ে ৯ জন পুলিসকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।

পুলিসের এক অফিসার বলেন, করোনার বিরুদ্ধে চলা যুদ্ধে পুলিসকর্মীরা ‘ফ্রন্ট লাইন ফাইটার’ হিসাবে পরিচিত। আমজনতাকে সুরক্ষিত রাখতে তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় ছুটে বেরাচ্ছেন। বাজার বন্ধ করা, লকডাউন কার্যকরী করা থেকে করোনা রোগীকে হাসপাতালে পাঠানো, মৃত রোগীদের দেহ সৎকার করা সহ সব ধরনের কাজই তাঁদের করতে হচ্ছে। এজন্যই তাঁরা হয়ত সংক্রামিত হচ্ছেন। করোনার থাবা বসালেও পুলিসকর্মীদের মনোবল চাঙা রয়েছে। পাশাপাশি আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের উপর নজর রাখা হচ্ছে। তাঁদেরকে হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গের আট জেলায় ১০টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হয়েছে। সেগুলিতে পুলিসকর্মীদের ১৪ দিনের জন্য আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে।

কোচবিহার জেলায় দু’জন অতিরিক্ত জেলাশাসক সহ আট জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, মেটেলির বিডিও, শিলিগুড়িতে তিনজন দমকলকর্মী ও বেশ কয়েকজন ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার শিলিগুড়িতে পাঁচজন দমকলকর্মীর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিস, প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা অবশ্য বলেন, সমগ্র পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। অনেক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিস ও আধিকারিক সুস্থও হয় উঠেছেন। কাজেই এনিয়ে ভয়ের কিছু নেই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#North Bengal, #police, #quarantine centres

আরো দেখুন