অযোধ্যায় ৩ বা ৫ই অগস্ট রাম মন্দির নির্মাণ শুরু, মোদীকে আমন্ত্রণের সিদ্ধান্ত ট্রাস্টের
আগামী অগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু হতে চলেছে। প্রাথমিকভাবে ওই মাসের ৩ অথবা ৫ তারিখ ভূমি পুজোর প্রস্তাব দিল শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট। এই বিষয়টি ট্রাস্টের তরফে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে (PMO) জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে আগামী ৩ এবং ৫ অগস্টের মধ্যে যে তারিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্মতি দেবেন সে দিন মন্দিরের নির্মাণ কাজের সূচনা হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য রামেশ্বর চৌপল।
মন্দির নির্মাণের সূচনা পর্বের দিনক্ষণ স্থির করতে শনিবার অযোধ্যায় ট্রাস্টের বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১১ জন ট্রাস্টি এবং রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র। চারজন সদস্য ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ট্রাস্টের সাধারণ সচিব চম্পত রাই। তিনি জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত মন্দিরের ভিত কতটা গভীর হবে তা নির্ভর করছে মাটির নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের উপরে। এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সংস্থা লার্সন অ্যান্ড টুবরো ইতোমধ্যে নির্মাণস্থলের ৬০ মিটার গভীরের মাটির নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে।
মন্দির নির্মাণের কাজ কতদিনের মধ্যে শেষ হবে, সেই বিষয়ে মন্দির ট্রাস্টের গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্যের থেকে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে চম্পত রাই বলেন, প্রাথমিক সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যাবে।
প্রথমে ঠিক ছিল রামনবমী বা অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই শুরু হবে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। কিন্তু করোনার দাপটে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। পরে জানা যায়, ১০ জুন থেকেই শুরু হতে চলেছে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। শেষ মুহূর্তে তাও বাতিল হয়ে গিয়েছিল।
অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দির কেমন হবে, তিন দশক আগে তার নকশা করে রেখেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগে ১২৫ ফুট উচ্চতার কথা ভাবা হলেও বর্তমানে তা বাড়িয়ে ১৬০ ফুট করার প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে। মন্দিরের প্রথম তলা ১৮ ফুট উঁচু এবং দ্বিতীয় তলের উচ্চতা ১৫ ফুট ৯ ইঞ্চির হবে। এর প্রথম তলায় থাকবেন রামলালা বিরাজমানের মূর্তি। দ্বিতীয় তলায় রাম দরবার গড়া হবে, যেখানে রাম-লক্ষ্মণ-সীতার মূর্তি স্থাপন করা হবে।
২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দেয়, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতেই রামমন্দির হবে। মসজিদ গড়ার জন্য বিকল্প ৫ একর জমি দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। এদিকে, মন্দির নির্মাণে একটি ট্রাস্ট গঠনের জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
যদিও অযোধ্যার রাম জন্মভূমি এলাকেকে বৌদ্ধ ধর্মীয়স্থান হিসেবে দাবি করলেন একদল বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। শুধু তাই নয়, সেখানে খনন কার্য চালানোর জন্য গোটা এলাকা UNESCO-র হাতে তুলে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। নিজেদের দাবি নিয়ে সম্প্রতি আমরণ অনশনে বসেছিলেন তাঁরা।