শহিদ দিবসের পালটা ‘প্রহসন দিবস’ নয়া কর্মসূচি ঘোষণা দিলীপ ঘোষের
২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবস। তার পালটা দিতে এবার ‘প্রহসন দিবস’ পালনের ডাক দিল বঙ্গ বিজেপি। আজ একথা ঘোষণা করে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ‘প্রহসন দিবস’ পালন করতে মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কালো পতাকা, কালো ব্যাজ পরে বিক্ষোভে শামিল হবেন বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূলের শহিদ দিবসের বিরোধিতায় গেরুয়া শিবিরের সুর চড়বে।
সোমবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ”১৯৯৩ সালে বাম জমানায় গুলিতে নিহত শহিদদের স্মরণে মুখ্যমন্ত্রী শহিদ দিবস পালন করেন। কিন্তু সেই শহিদ দিবস পালনের অধিকার মুখ্যমন্ত্রী হারিয়েছেন। গণতান্ত্রিক অধিকারকে সুরক্ষিত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সময়ে যে আন্দোলন করেছিলেন, ক্ষমতায় এসে তাঁর রাজ্যেই গণতন্ত্র লুঠ হচ্ছে। বিরোধীদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।” তাঁর মতে, তাই এই শহিদ দিবস পালন এখন স্রেফ প্রহসনে পরিণত হয়েছে। তাই তাদের পালটা কর্মসূচি ‘প্রহসন দিবস’।
দিলীপ ঘোষের আরও অভিযোগ, ”রাজ্যে স্বৈরাচারী, অমানবিক শাসন চলছে। বিজেপি নেতা-কর্মীরা পরপর খুন হচ্ছে। সম্প্রতি বিধায়ক খুন হয়েছেন। চোপড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এ সমস্ত ঘটনা ধামাচাপা দিতে কুযুক্তি দিচ্ছে তৃণমূল। রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা নেই। আজ হিংসা, অত্যাচার, দুর্নীতিতে পশ্চিমবঙ্গ এগোচ্ছে। এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকারকে কতদিন থাকতে দেওয়া উচিত, তা ভাবুক রাজ্যবাসী।”
আসলে গেরুয়া শিবিরের পাখির চোখ এখন ২০২১এ বাংলা দখল। করোনা আবহে বড়সড় মিছিল, জমায়েত নিষিদ্ধ। বন্ধ বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগও। অথচ বিপুল জনপ্রিয় তৃণমূল সরকারকে ধরাশায়ী করতে গেলে জনভিত্তিই সবচেয়ে প্রয়োজনীয়, যা বঙ্গে সেভাবে এখনও তৈরি হয়নি দিলীপ ঘোষদের। শক্তি বলতে, উনিশের লোকসভায় এ রাজ্যের ১৮ টি কেন্দ্রের দখল নেওয়া। তাই জনমত তৈরি করতে হাজারও ভারচুয়াল রাস্তায় নেমেছে বঙ্গ বিজেপি। ‘দিলীপদাকে বলো’ থেকে শুরু করে জনতার পরামর্শ নিতে নতুন ই-মেল আইডি চালু করা, একাধিক কর্মসূচি শুরু হয়েছে। তাতেই নবতম সংযোজন এই ‘প্রহসন দিবস’। এর মধ্যে দিয়ে কতটা দাগ কাটতে পারে মুরলীধর সেন লেনের নেতৃত্ব, সেটাই এখন দেখার।