ঐতিহাসিক ভার্চুয়াল সভা – মমতার বক্তব্য লাইভ শুনলেন ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ
১৯৯৩ সালের ২১ শে জুলাই, বামফ্রন্ট সরকারের আমলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৩ জন যুব কর্মী। আজ তার ২৭ বছর পেরিয়ে গেছে। সেই দিনের পর থেকে প্রতি বছর তৃণমূল কংগ্রেস এই দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে এসেছে। হয়েছে, বিরাট জনসভা, যোগ দিয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। কোনবার এর অন্যথা হয়নি। এবার হল।
করোনা আবহে করা গেল না জনসভা। রাজ্যের মানুষের সমাবেশে যোগ দিতে কলকাতা আসা হল না। কিন্তু তাই বলে কি শহিদ স্মরণ থেমে থাকতে পারে! তাই তৃণমূল কংগ্রেস, নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে আয়োজন করল ভার্চুয়াল সভার।
গোটা রাজ্যের মানুষ জননেত্রীর বক্তৃতা শুনলেন লাইভ ভিডিওতে। কেউ জায়ান্ট স্ক্রিনে, কেউ বা আবার নিজের ফোনে। জননেত্রীর বক্তব্য শুরু হতেই হুহু করে বাড়তে শুরু করল ভিউ। এত অসুবিধের মধ্যেও জননেত্রীর ভার্চুয়াল শহিদ স্মরণ দেখতে ভিড় উপচে পড়ল। ঠিক অন্যান্য বারের মতো।
সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ স্মরণ লাইভ দেখলেন ৫ লক্ষ মানুষ, শুধুমাত্র ফেসবুকে। ইউটিউবে আরো ৩০,০০০। এই হিসেবটা সমাবেশ শেষ হওয়ার সময়। এখনো হুহু করে বাড়ছে ভিউ।
উল্লেখ্য, অমিত শাহের জনসভার পর, ২৪ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর ইউটিউবে ভিউ ছিল ২৯,০০০ আর ফেসবুকে ২০ লক্ষ।
এই ঐতিহাসিক ভার্চুয়াল সভাকে ব্যপকহারে সফল করে রাজ্যের মানুষ আবার বুঝিয়ে দিলেন, বাংলায় মমতার বিকল্প শুধুই মমতা।