রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

এবার ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন হরিণঘাটার মাংস

July 21, 2020 | 2 min read

‘হরিণঘাটা মিট’ এবার গৃহস্থের দোরগোড়ায়। স্মার্টফোনে অ্যাপ আকারে আসছে রাজ্য সরকারের ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের (ডব্লুবিএলডিসি) আওতাধীন এই সংস্থা। অ্যাপে ঢুকে অর্ডার দিলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে হরিণঘাটার মুরগি ও খাসির মাংস। এছাড়া কোয়েল আর টার্কি তো আছেই। লকডাউন পর্বে কলকাতা তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের রসনাতৃপ্তির জন্য লাগাতার মাংস জুগিয়ে গিয়েছে হরিণঘাটা মিট। এই সময়ে কলকাতা ও আশপাশের ২৩০টি আবাসনে মাংস বিক্রি করে ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকারও বেশি আয় করেছে তারা। সামগ্রিক পরিসংখ্যান বলছে, ক্রেতাদের অর্ধেকই বিভিন্ন আবাসনের বাসিন্দা। ডব্লুবিএলডিসি’র কর্তাদের দাবি, করোনা বিপর্যয় পর্বে সাধারণের কাছে সুলভ মূল্যে মাংস পৌঁছে দেওয়ার এই পরিকল্পনা নিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে অভাবনীয় বাণিজ্যিক সাফল্যে মেলায় অ্যাপের মাধ্যমে ‘হোম ডেলিভারি’র পরিকল্পনাও তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত।

গত ২০১৮ সালের মার্চ মাসে শেষবারের মতো হরিণঘাটা মুরগির মাংসের দাম বেড়েছিল। সেই কেজি প্রতি ১৪০ টাকা দামেই গৃহস্থের কাছে মাংস পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও, লকডাউন পর্বে কেজি প্রতি ২০ টাকা করে বেড়েছে হরিণঘাটার খাসির দাম। তবে তার পরিমাণ খোলাবাজারের তুলনায় অনেক কম। ফলে লকডাউনে গৃহস্থালির চাহিদা ছিল আকাশছোঁয়া। এবার অ্যাপের মাধ্যমে ‘হোম ডেলিভারি’তেও তা বজায় থাকার আশা করছে ডব্লুবিএলডিসি কর্তৃপক্ষ। অ্যাপ তৈরির কাজও ৭৫ শতাংশ শেষ। আগামী একমাসের মধ্যেই কলকাতা, শিলিগুড়ি শহর ও সন্নিহিত এলাকায় গৃহস্থের দোরগোড়ায় পৌঁছবে ১৪০ টাকা কেজি দরের মুরগি এবং ৬০০ টাকা কেজি দরের খাসির মাংস। হোম ডেলিভারির কাজে বেশ কিছু বেকার যুবকের কর্মসংস্থানও সুনিশ্চিত হবে। এই পরিকল্পনা রূপায়ণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।

ডব্লুবিএলডিসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডঃ গৌরীশঙ্কর কোনার বলেন, লকডাউন পর্বের প্রথমে হরিণঘাটা মিটের বিক্রি স্বাভাবিক অবস্থার অর্ধেকের নীচে নেমে এসেছিল। রেস্তরাঁ, বড় হোটেল, বহু বিপণি এবং অ্যাপভিত্তিক বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি মাংস কেনা বন্ধ করে দেয়। এই পরিস্থিতিতেই বেহালা থেকে রাজারহাট­-নিউটাউন, সোনারপুর থেকে শিবপুর—বিভিন্ন এলাকায় যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্রাম্যমান বিপণি চালু করা হয়। সেখান থেকেই সাফল্যের শুরু। গুণগত মান এবং সাধ্যের মধ্যে দামের কারণে ক্রমেই বাড়তে থাকে বিক্রি। আনলক পর্বে সেই বিক্রির পরিমাণ আগের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে।

গৌরীশঙ্করবাবু জানিয়েছেন, লকডাউন পর্বের এই ১১২-১১৩ দিনে শুধু সাড়ে ৯ লক্ষ কেজি মুরগির মাংস বিক্রি হয়েছে। খাসির মাংস বিক্রয়ের পরিমাণ ৮০ হাজার কেজি। এছাড়া কোয়েল এবং টার্কির মাংস সহ অন্যান্য সামগ্রীর বিক্রির পরিমাণও প্রায় ৩০ হাজার কেজি। সব মিলিয়ে প্রায় ১৪ কোটি টাকার মাংস বিক্রি করেছে হরিণঘাটা। গত বছরের এই সময়ের চেয়ে যা ৪০ শতাংশেরও বেশি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Haringhata Meat, #Online delivery, #State Government

আরো দেখুন