শহিদ দিবসের ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে ২১-এর দামামা তৃণমূলনেত্রীর
২১ জুলাই আর ধর্মতলা। গত কয়েক বছর ধরে এই দুটি সমার্থক হয়ে গিয়েছে। একুশের আগে শেষ একুশ । ভিড়ে ঠাসা সভার বদলে ভার্চুয়াল জমায়েত । ২৬ বছরে পা রাখা একুশে জুলাই এবার রাজনীতি এবং আঙ্গিক দুই দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ ।
এক অন্যরকম শহিদ দিবস ৷ তবুও নির্বাচনের আগে শেষ একুশের ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে ২০২১ সালের জন্য বার্তা তৃণমূল নেত্রীর ৷ শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্যের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে ধর্মতলায় সভা না করতে পারায় ব্যথিত ৷ আগামী বছর বিধানসভা ভোটের পর সবচেয়ে বড় সভা হবে ৷ পরের বছর জিতে এসে ২১ জুলাই ঐতিহাসিক সভা করব ৷’
করোনা সংক্রমণের আবহে একুশের ইতিহাসে এই প্রথম ভার্চুয়াল জমায়েতে মমতা। এবারের একুশ তাই বোধহয় অন্য বছরের চেয়ে আলাদা। রাজনৈতিক মূল্যের পাশাপাশি আয়োজনের বিন্যাসেও। কালীঘাটের ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে যা বলেন নেত্রী
- আজকে আমাদের নেতৃবৃন্দ জেলায় জেলায় আছেন
- আমরা ধর্মতলায় যে সমাবেশ করি, সেটা না করতে পেরে আমরা ব্যাথিত
- আগামী বছর ২১শে মে ঐতিহাসিক রেজাল্টের পর ২১শে জুলাই আমরা সর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক সমাবেশ করবো
- তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য জোড়াফুল রাজ্যের বুথে বুথে চলে গেছে আজ। আগামী লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে তারা জোট বাঁধছেন
- শহিদ পরিবারদের আমি শ্রদ্ধা জানাই। তাদের বাড়িতে বাড়িতে আমরা বার্তা পৌঁছে দিয়েছি
- সারা দেশে যত শহিদ পরিবার আছে, তাদের যে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, ভয়ে তারা চুপ করে আছে
- দিল্লিতে দাঙ্গা থেকে শুরু করে গুজরাট, ইউপি তে এনকাউন্টার- তান্ডব চলছে সারা দেশে
- চীনের সাথে সীমানা লড়াইয়ে যে জওয়ান শহিদ হয়েছেন তাঁদের প্রণাম জানাই
- করোনার সাথে লড়তে গিয়ে আমাদের যে পুলিশ কর্মী, স্বাস্থ্য কর্মী মারা গেছেন, তাদেরও শ্রদ্ধা জানাই, তারা যোদ্ধা। তাদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই
- ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে যারা মারা গেছেন, তাঁদেরও শ্রদ্ধা জানাই
- আম্পানে যারা ক্ষতিগ্রস্থ, তাদের জন্য ৬৫০০ কোটি টাকা ছাড়া হয়েছে
- একটা দুটো রেশন দোকানে গড়মিল হয়েছে, তাই নিয়ে সিপিএম-বিজেপি-কংগ্রেস লন্ডভন্ড করছে
- প্রায় ১০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়েছে
- শুধু ২১শে জুন ২০২১ না, সারাজীবন মানুষ বিনামূল্যে রেশন, স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা পাবে
- আম্পান, করোনা সত্ত্বেও উন্নয়ন থামে নি
- কেন্দ্র বাংলাকে অপমান করছে। মানুষ তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে। বহিরাগতরা বাংলা চালাবে না। বাংলার মানুষ বাংলা চালাবেন
- কেন্দ্র ক্ষমতায় আছে বলে বাংলার মানুষকে অপমান করছে। কি ভাষা তাদের। বলছে এনকাউন্টার করে দেব
- ভাববেন না COVID চলছে বলে NRC ভুলে যাব। নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ ডিএম এর। সবাই নাগরিক। আপনারা নতুন করে কি দেবেন
- ওরা শুধু বিদ্বেষ সৃষ্টি করছে। উদ্বাস্তুর সাথে এপারের, রাজবংশীর সাথে কামতাপুরীর, হিন্দুর সাথে মুসলমানের। এটা কিসের রাজনীতি
- আম্পানের পর প্রধানমন্ত্রী এলেন। কিন্তু বাংলা কি প্রাপ্য টুকু পেল
- করোনা আমাদের সকলকে গ্রাস করেছে। ভয় পাওয়ার কারণ নেই। আমরা টেস্টিং বাড়াচ্ছি। টেস্ট বেশি হলে কেসের সংখ্যা বাড়বে
- আমরা টেস্টিং করছি ১৩,০০০ করছি। ১৫ই আগষ্টের মধ্যে ২৫,০০০ টেস্ট করবো
মৃত্যুর হারও কমছে বাংলায়। আগামীদিনে আরও কমবে
- ৭০% রুগী বাংলায় asymptomatic বা মৃদু উপসর্গের রুগী
- লোকসভা নির্বাচনে কয়েকটা সিট পেয়ে গুন্ডামী, নোংরামি, ভাংচুর করে বেড়াচ্ছে
- বাংলায় নাকি আইনশৃঙ্খলা নেই। প্রতিদিন কমপ্লেন পাঠানো হচ্ছে। লজ্জা করেনা! ইউপিতে জঙ্গল রাজ চলছে
- আসামে #NRC -র নাম করে অত্যাচার চলছে। বাঙালি, গোর্খা মাড়োয়ারিদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে
- রেল, কোল ইন্ডিয়া, এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। করোনার নাম করে MPLAD বন্ধ, কর্মচারীরা মাইনে পাচ্ছে না
- বাংলা একমাত্র রাজ্য যেখানে আমরা ১তারিখেই মাইনে দিই। কারও মাইনে কাটা যাইনি
- বাংলা গত ৮ বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দারিদ্র দূরীকরণ, ১০০ দিনের কাজ, ক্ষুদ্র শিল্পে, রাস্তা নির্মাণে ১ নম্বর বাংলা
- ১ কোটির উপর ছাত্রছাত্রীদের আমরা সবুজ সাথী সাইকেল দিয়েছি
- ৮ কোটির বেশি মানুষকে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আনা হয়েছে
- রেশনে ভালো চালটা রাজ্য সরকার দেয়। পচা চাল দেয় কেন্দ্র
- দিদি কে বলো-তে কমপ্লেন পেয়ে আমি ৬ লক্ষ মানুষের পেনশন করে দিয়েছিলাম
- তফসিলী ভাইবোনদের জন্য জয় বাংলা পেনশন চালু করে দিয়েছি
- ১কোটি ৩৬ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে ক্ষুদ্র শিল্পে
- সারাদেশের বেকারত্বের হার যখন বেড়েছে, বাংলায় সেই হার ৪০% কমেছে
- আমিও একজন মানুষ। যন্ত্র নয়। আমারও হৃদয় আছে। বারবার লাঞ্ছনা, গঞ্জনা, বঞ্চনা, অপমান, সন্ত্রাস, চক্রান্ত বরদাস্ত আমি করবো না
- বিজেপি একটা তুচ্ছ রাজনৈতিক দল, নির্বাচনকে নোংরা খেলায় পরিণত করেছে
- কেন্দ্র কর্ণাটক, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে টাকা দিয়ে সরকার ভাঙা হচ্ছে
- দাদা-ভাই উন্নয়নের কাজ করুন, সমর্থন থাকবে। এজেন্সি দিয়ে বাংলাকে হঠাতে পারবেন না
- গুজরাট বাংলাকে শাসন করবে না। বাংলা শাসন করবে শুধু শুধু বাংলা
- করোনার সময় সরকার ফেলার খেলা চলছে। One Nation, One Party!
- সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা নেই
- গায়ের জোরের বিরুদ্ধে অনেকে কথা বলতে ভয় পায়। আমি ভয় পাই না
- আগামী ২১শে মে, বিজেপিকে জামানত জব্দ করে বদলা নেবেন
- দিল্লির এক তাঁবেদার আমায় বললেন, VC দের সাসপেন্ড করবেন। আমি বললাম, চাইলে তাদের গায়ে হাত দিয়ে দেখান, ছাত্র বিপ্লব কাকে বলে দেখবেন
- ২১শে জুলাই দিচ্ছে ডাক, বাংলা থেকে বিজেপি নিপাত যাক
- বুথের কর্মীরাই আমার সম্পদ। আমি সবাইকে বলবো মানুষের পাশে থাকুন
- আগামীদিন আমার একটাই কাজ- শান্তি ও সংহতির সাথে বাংলার নব প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করবো
- বিজেপিকে ভোট দিলে কি হয় ভাটপাড়া গিয়ে দেখে আসুন। মানুষের সামান্য সম্মানটুকু নেই
- বাংলা আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে