কোভিড-যুদ্ধে শামিল সাফাইকর্মীদের ‘সেফটি স্যুট’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
কোভিড-যুদ্ধে শামিল সাফাইকর্মীদের এবার ‘সেফটি স্যুট’ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। দেওয়া হবে গামবুট, মাস্ক, গ্লাভসও। পুরসভার সাফাইয়ের কাজে যুক্ত কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সাফাইকর্মীদেরও মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করতে হচ্ছে। সরকারের তথ্য বলছে, রাজ্যের বেশিরভাগ পুরসভাতেই সংক্রমণের মাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। বাড়ছে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কাও। সেক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা বেশি ঘিঞ্জি শহরাঞ্চল নিয়ে। আক্রান্তের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহের কাজ মূলত করে থাকেন পুরসভার সাফাইকর্মীরা। আবার রাস্তাঘাটে জঞ্জাল পরিষ্কারের কাজও তাঁদের। ফলে সাফাইকর্মীদের সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি থাকছেই। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার দাবি তুলে সাফাইকর্মীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের সাক্ষী থেকেছে বেশ কয়েকটি পুরসভা। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্যের ‘সেফটি স্যুট’ কিংবা গামবুট বিলি করার সিদ্ধান্ত তাঁদের ক্ষোভ প্রশমিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যে মোট ১২৫টি পুরসভা। রয়েছে ছ’টি কর্পোরেশনও। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে ৮০ হাজার সাফাইকর্মীকে ‘সেফটি স্যুট’ ও গামবুট বিলি করা হবে। কলকাতা পুর-এলাকায় পাবেন ২০ হাজার। বাকি ৬০ হাজার বিলি হবে অন্যান্য পুরসভায়। জানা গিয়েছে, এক একটি ‘সেফটি স্যুট’-এর দাম ৫০০ টাকা। অর্থাৎ, প্রথম পর্যায়ে এই প্রকল্পে রাজ্য খরচ করছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। মঙ্গলবার দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘সেফটি স্যুট’ সরবরাহে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেই বিলির কাজ শুরু হবে। স্টেট আরবান ডেভলপমেন্ট অথরিটির অধিকর্তা শান্তনু মুখোপাধ্যায়ও সম্প্রতি রাজ্যের প্রতিটি পুর-কর্তৃপক্ষকে সাফাইকর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার উপর জোর দেওয়ার নির্দেশ পাঠিয়েছেন। ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুরসভার জঞ্জাল পরিস্কার থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি বর্জ্য সংগ্রহে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কঠোরভাবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধিও।