দেশ বিভাগে ফিরে যান

১০০ কোটি কোভিড ভ্যাকসিন তৈরির জন্য প্রস্তুত ভারত,দাবি সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার

July 22, 2020 | 2 min read

মানবদেহে প্রথম দফার পরীক্ষা সফল। মাস দুয়েকের মধ্যে তৃতীয় দফার পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘এজেডডি১২২২’ কোভিড টিকা নিয়ে আশার আলো দেখা গিয়েছে সোমবারই। আর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে ভারতের জন্য এল সুখবর। এবার এদেশেও শুরু হবে এই টিকার তৃতীয় দফার পরীক্ষা। দেশজুড়ে দেড় হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবকের দেহে এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহেই তা শুরু হতে পারে। তবে তার থেকেও বেশি স্বস্তির খবর দিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। তাদের দাবি, অনুমতি পেলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিষেধকের ভায়াল মানুষের কাছে চলে আসবে। এমনকী সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতিষেধকের সম্ভাব্য দামের আভাসও দেওয়া হয়েছে। কমবেশি হাজার টাকা দাম হবে প্রতি ডোজের।

উল্লেখ্য, জেনেরিক মেডিসিন এবং প্রতিষেধক উৎপাদনে বিশ্বে অন্যতম বৃহৎ ক্ষেত্র ভারত। কোভিড ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আপাতত ১৬টি দেশের মধ্যে চলা তীব্র প্রতিযোগিতার অন্যতম অংশীদার এদেশও। কারা প্রথম এই টিকা তৈরি করবে, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে কৌতূহল বাড়ছে। এর মধ্যে সবথেকে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগ। অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার ভারতীয় অংশীদার সিরাম ইনস্টিটিউট। এদিন আরও এক ধাপ এগিয়ে তারা জানিয়েছে, ভারতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের লাইসেন্স দেওয়ার জন্য অক্সফোর্ডের কাছে আগামী সপ্তাহেই আবেদন জানানো হবে। পাশাপাশি, ড্রাগ কন্টোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ারও দ্বারস্থ হতে চলেছে এই সংস্থা। আশা করা যাচ্ছে, আগস্ট মাসেই এদেশে ওই টিকার ‘হিউম্যান ট্রায়াল’ শুরু হতে পারে।

সংস্থার দাবি, সম্ভবত ডিসেম্বর মাসেই চলে আসবে ভ্যাকসিন। প্রথম দফায় ৪০ কোটি ভায়াল তৈরি করা হবে। তারপর আরও ৬০ কোটি। সব মিলিয়ে ১০০ কোটি ভ্যাকসিনের ভায়াল তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনের পাশাপাশি আমেরিকার ফাইজার এবং চীনের ক্যান সিনো বায়োলজিও এগিয়ে রয়েছে কোভিড টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে। তিন দেশের তিনটি সংস্থা তৃতীয় দফার পরীক্ষা শুরুর দাবি করেছে। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াতেও পৃথক প্রতিষেধক তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল রিসার্চ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি এবং হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়েছে। ভারতের আরও পাঁচটি সংস্থা একই গষেণায় যুক্ত। এদিন নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডঃ ভি কে পল বলেছেন, ভারতের দু’টি ভ্যাকসিন প্রথম ও দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার স্তরে রয়েছে। এই প্রতিষেধক কীভাবে এবং কবে থেকে পাওয়া সম্ভব—তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।-

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#corona vaccine, #serum institute of india, #India

আরো দেখুন