সাংবিধানিক সংকটের পথে রাজস্থান – পাইলটের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে স্পিকার
শচীন পাইলট এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন রাজস্থানের স্পিকার সি পি যোশী। বুধাবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজস্থান হাই কোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানোর কথা ঘোষণা করেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। তাঁর দাবি, কোনও বিধায়ককের বিরুদ্ধে দল-বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখা স্পিকারের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। আদালত এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে হাজির না থাকায় শচীন পাইলট ও তাঁর ১৮ জন অনুগামী বিধায়ককে শোকজ নোটিস পাঠান রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার সিপি যোশী। জানিয়ে দেওয়া হয় তিনদিনের মধ্যে বৈঠকে গরহাজিরার কারণ না দেখাতে পারলে তাঁদের বিধায়কপদ বাতিল হয়ে যাবে। স্পিকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজস্থান হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পাইলট শিবিরের বিধায়করা। মঙ্গলবার সেই মামলায় আংশিক স্বস্তি পান শচীন পাইলট। পাইলট এবং তাঁর অনুগামী ১৮ জন বিধায়ককে ৩ দিনের রক্ষাকবচ দেয় আদালত। স্পিকার সিপি যোশীকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২৪ জুলাই পর্যন্ত পাইলট ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে কোনওরকম ব্যবস্থা নিতে পারবেন না তিনি।
স্পিকার সিপি যোশীর দাবি, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালত তাঁর সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে। এভাবে আদালত স্পিকারের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা শুরু করলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে। এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘সংবিধান এবং সুপ্রিম কোর্ট স্পিকারের দায়িত্ব এবং অধিকার নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা আগেই দিয়েছে। স্পিকার হিসেবে আমি একটা অভিযোগ পেয়েছিলাম। সেটা নিয়ে তথ্য জানতে চেয়েছি। একটা কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছি শুধু। একজন স্পিকার যদি কারণ দর্শানোর নোটিসও না পাঠাতে পারে তাহলে তাঁর কাজটা কী? একজন স্পিকারের পুরোপুরি অধিকার আছে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানোর। আমি আমার আইনজীবীদের বলেছি সুপ্রিম করতে আবেদন করতে।’ সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টে স্পিকারের হয়ে মামলা লড়বেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বাল।