টলিউডে বিশ্বাস যুগের অবসান, খুশি শিল্পীরা
টলিউড বলতেই সাধারণ মানুষ বা কলাকুশলীদের মনে যে দুজনের নাম অবধারিতভাবে চলে আসে তারা হলেন অরূপ বিশ্বাস এবং স্বরূপ বিশ্বাস। এই দুই ভাইয়ের দোর্দন্তপ্রতাপ রাজ ছিল ষ্টুডিওপাড়ায়। কিন্তু, তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলের পর অবসান হল বিশ্বাস-যুগের। এতে খুশি অনেক শিল্পী, কলাকুশলী।
দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল যুব সংগঠনের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বরূপ বিশ্বাসকে। জানা গিয়েছে, টালিগঞ্জ পাড়ার সমস্যা নিয়ে ‘বিশ্বাস ব্রাদার্স’-এর উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কদিন আগে নবান্নে তাঁর সামনেই ঝগড়া হয় আর্টিস্ট ফোরাম ও টেকনেশিয়ানদের। কাজ না করেই টাকা নিচ্ছেন টেকনেশিয়ানরা, এই অভিযোগের পাল্টা ক্ষোভ উগড়ে দেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাস। ওই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “মাথা ঠাণ্ডা করে কথা বলো স্বরূপ।”
শুধু তাই নয়, টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতেও শোনা যাচ্ছিল, ‘বিশ্বাস ব্রাদার্স’-এর জন্যই অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা গেরুয়া শিবিরে চলে যাচ্ছেন। বিধানসভা ভোটের আগে সেইসব ক্ষতস্থানে প্রলেপ দিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠদের দূরে সরিয়ে কড়া বার্তা দিলেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
এই ঘটনার পর, টলিউডের এক বড় অভিনেতা ঘনিষ্ঠ মহলে জানান, দিদি একদম ঠিক কাজ করেছেন। এর ফলে টলিউডে কাজ করতেও সুবিধা হবে বলে মনে করছেন এই তারকা।
বৃহস্পতিবার দলে বড়সড় রদবদল করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সাত সদস্যের কোর কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তা ছেত্রী। আগে কোর কমিটিতে থাকলেও এবার বাদ দেওয়া হয়েছে খোদ অরূপ বিশ্বাসকে।