মনমোহন সিংহের ১৯৯১ বাজেট: যা বদলে দিয়েছিল ভারতের ভবিষ্যৎ
আজ, ২৪শে জুলাই। ২৯ বছর আগে আজকের দিনেই মনমোহন সিংহ পেশ করেছিলেন তার ড্রিম বাজেট, যা এনেছিল ভারতীয় অর্থনীতিতে উদারীকরণের হাওয়া। ১৯৯১ সালে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে পরিষেবা ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ ঘটেছিল। এর ফলে উদারীকৃত হয়েছিল বিনিয়োগ। যা দেশের বাণিজ্য ব্যবস্থাকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করে।
১৯৮৯-৯০ সালে ভারত আর্থিক পতনের মুখোমুখি ছিল। দুই সপ্তাহের বেশি সময় আমদানি রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেখে দেশ চরম অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে পড়েছিল। লাইসেন্স রাজ, জটিল কোম্পানি আইন এবং সমাজতান্ত্রিক নীতির কারণে দেশের অর্থনীতি শুকিয়ে গিয়েছিল। গাল্ফ যুদ্ধের কারণেও চাপে ছিল অর্থনীতি। বাণিজ্য ঘাটতি এবং স্বল্প রিজাৰ্ভের ফলে টাকার তীব্র পতন ঘটে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে আশির দশকে ভারতে যেভাবে আর্থিক ভারসাম্যহীনতা বাড়ছিল, কোনও বৈপ্লবিক সংস্কার না হলে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ত। ১৯৯১ সালে মনমোহন সিং ভারতের অর্থমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় পিভি নরসিংহ রাও সরকারের অধীনে ভারত ঠিক এটাই করতে পেরেছিল।
মনমোহন সিংহ অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করেছিলেন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন। ১৯৯১ -৯২ অর্থবর্ষের জন্য মনমোহন সিংহের ঘোষিত বাজেট এখনও পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে সংস্কারমূলক বাজেটের মধ্যে গণ্য হয়। উনি আর্থিক ব্যবস্থাকে মুক্ত করার জন্য যে কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা করেছিলেন, তা ভারতের অর্থনীতি উদারিকরণের প্রথম পদক্ষেপ।