দিল্লিতে বিজেপির বৈঠকে উপেক্ষিত শোভন
জল এখনও ঘোলা! দিল্লিতে বিজেপি–র সপ্তাহব্যাপী সাংগঠনিক বৈঠক শুরু হয়েছে। সেই সময়েই বিমানে দিল্লি পৌঁছেছেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চ্যাটার্জি ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বৈশাখী ব্যানার্জি। কিন্তু, নর্থ অ্যাভিনিউতে দিলীপ ঘোষের ফ্ল্যাটে আয়োজিত বৈঠকে দেখা মেলেনি তাঁদের। শোভন নেই কেন? জানতে চাইতেই বাঁকা জবাব দিলেন বিজেপি–র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, ‘জানি না কোন বৈঠকের জন্য তাঁকে কে ডেকেছেন। তবে, এই বৈঠকের জন্য তিনি যোগ্য নন। বৈঠকে ডাকাও হয়নি।’
২০১৯–এর ১৪ আগস্ট দিল্লিতে বিজেপি সদর দপ্তরে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দিলেও কিছুদিনের মধ্যেই ‘ডাল–ভাত’ বিতর্কের জেরে দলে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন শোভন–বৈশাখী। এখন গুঞ্জন শুরু হয়েছে তাঁরা আবার সক্রিয় হতে চাইছেন। এ ব্যাপারে বিজেপি–র রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও সেরে নিয়েছেন তাঁরা। সেইমতো দিল্লিতে আয়োজিত রাজ্য বিজেপি–র সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়েছে। তাঁরা দিল্লিতে পৌঁছেছেন। কিন্তু, তাঁরা বৈঠকে আমন্ত্রিত নন। দিলীপ ঘোষের এদিনের মন্তব্যের পর আরও একবার শোভন–বৈশাখীর সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে সংশয় থেকে গেল বলেই মনে হচ্ছে। এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়ও। সে প্রসঙ্গে দিলীপ বলেছেন, ‘গতকালের প্রস্তুতি বৈঠকে মুকুল রায় ছিলেন। নিজেই বৈঠকে না থাকার কথা জানিয়েছেন। আমরা জানি, করোনা ও শারীরিক কারণে অনেকদিন ধরে তিনি চুপচাপ রয়েছেন। সম্ভবত কলকাতা ফিরে যাবেন।’
আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন রাজ্য বিজেপি–র নেতারা। বৈঠকে রয়েছেন দলের পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকরা। ডাকা হয়েছে সব সাংসদ, বিধায়ক, দলের জেলা সভাপতি এবং পদাধিকারীদের। কেন বৈঠক? দিলীপ ঘোষ জানান, ‘করোনার কারণে গত ৩–৪ মাস ধরে কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক এবং রাজ্যের কর্মকর্তাদের একসঙ্গে বৈঠকে বসা সম্ভব হয়নি। যা হয়েছে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে হয়েছে। এখন নির্বাচন এসে গিয়েছে। এরমধ্যে দলের অনেক সাংগঠনিক রদবদল হয়েছে। নেতাদের কাজকর্ম ও বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রতিটি বিধানসভা ধরে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে। প্রতিটি জেলার জন্য দু’ঘণ্টা সময় দেওয়া হচ্ছে। এদিন ৪টি জেলার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। শুরু হয়েছে কোচবিহার জেলা থেকে। আগামী ৪–৫ দিন ধরে এই বৈঠক চলবে।’ তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ। তাঁর কথায়, ‘গাছের গোড়া কেটে ডগায় জল ঢালার মতো রদবদল করেছে তৃণমূল। ওসব করে কাজ হবে না।’