থেকে আসুন কলকাতার বুকে এই জমিদার বাড়িতে
ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার নানা প্রান্তে ছিল জমিদাররাজ। প্রাসাদোপম অট্টালিকায় বাস ছিল জমিদারদের। ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ এই জমিদারবাড়িতে রাজার হালে থাকতেন জমিদার পরিবারগুলি।
এইরকমই একটি জমিদার বাড়ির আদলে গড়ে তোলা হয়েছে কলকাতার অন্যতম এক বিলাশবহুল বুটিক হোটেল। নাম রাজকুটির। এই হোটেলটি ১৩ একর অঞ্চলে বিস্তৃত, ১৯ শতকের বাংলার রূপকে তুলে ধরা হয়েছে এই হোটেলে। একবার ঘুরে আসুন। হবে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
প্রতিটি জমিদারি বাড়ির মতো, আউট হাউজের মধ্যে দিয়ে আপনাকে প্রবেশ করতে হবে, সেখানেই প্রথম অভ্যর্থনা। সেখানে চন্দন টিকা, মিষ্টি মুখ, মাটির গ্লাসে পানীয় জল এবং ভেজা তোয়ালে দিয়ে আপনাকে বরণ করে নেওয়ার পর, একটি বটতলা দিয়ে আপনাকে ভেতরে ঢুকতে হবে। সেখানে একটি গ্রামীন পরিবেশের থিম রাখা হয়েছে। যেন বটতলায় বসে গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠরা গল্প গুজব করছেন।
হোটেলটি আদতে একটি দোতালা প্রাসাদ; খোলা বারান্দা, কাস্ট আইরনের রেলিং সবকিছুর ভিন্টেজ লুকে পাবেন ঔপনিবেশিকতার ছোঁয়া। প্রতিটি ঘরের ইন্টেরিয়ারও সামঞ্জস্য রেখেই ডিজাইন করা। স্ট্যান্ড দেওয়া খাট, কোনটায় আবার পর্দা লাগানো, কারুকার্য করা আয়না, প্রদীপ, শাঁখ ইত্যাদি শতাব্দী প্রাচীন দৈনিক আচারের কথা মনে করিয়ে দেবে আপনাকে। যা আজও বহু হিন্দু বাঙালি বাড়িতে প্রচলিত আছে।
এর সাথেই রয়েছে আধুনিক সুযোগ সুবিধে। রয়েছে ডাইনিং এরিয়া, লাউঞ্জ, স্পা, জিম ইত্যাদি। থিম বিয়ের জন্যে রাসমঞ্চ এবং রঙ্গমঞ্চ নামের দুটি উৎসব ভবনও রয়েছে।
কিভাবে যাবেন
বিবেকানন্দ যুব ভারতী ক্রিড়াঙ্গন (সল্টলেক স্টেডিয়াম) এবং সুভাষ সরোবরের বিপরীতে ইএম বাইপাসে অবস্থিত হোটেল রাজকুটির। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে।
যোগাযোগ
ঠিকানা: ৮৯ সি মৌলানা আবুল কালাম আজাদ সরণি, কলকাতা-৭০০০৫৪
টেলিফোন: ০৩৩-৪০৮৪৪৮৪
ওয়েবসাইট: www.raajkutir.com