করোনা-উত্তর পর্বে ঘুরে আসুন সুন্দরবন
লকডাউন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কোথায় যাবেন ভাবছেন? একবার ঘুরেই আসুননা সুন্দরী গাছেদের ভীড়ে সুন্দরবন থেকে। ম্যানগ্রোভ-এর অরণ্যে ভরা এই সুন্দরবনেই দেখা মিলবে পৃথিবী-বিখ্যাত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। দেখতে পাবেন হরিণ, কুমীর, বন্য শূকর, বাঁদর, বন মুরগি- সহ বহু প্রজাতির পাখি।
সবুজ বনভূমির পাশাপাশি অফুরন্ত জলরাশির উপর ভেসে বেড়ানোর সাথে সাথেই বন্যপ্রাণী-দর্শন এই সুন্দরবন ভ্রমণকে করে তুলবে আরো রোমাঞ্চকর।
কিভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে রেলপথ বা সড়কপথে যান ক্যানিং স্টেশন। সেখান থেকে অটো, বাস কিংবা টোটোতে করে সোনাখালি লঞ্চঘাট। কলকাতা থেকে সড়কপথেও সরাসরি আসা যায় সোনাখালিতে। সেখান থেকেই লঞ্চে করে পৌঁছে যান সুন্দরবনে। এ ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কৈখালি, রায়দিঘি ও গদখালি থেকেও সুন্দরবন যাওয়ার ব্যবস্থা আছে।
কি কি দেখবেন
এখানকার অন্যতম দর্শনীয় স্থান হল গোসাবায় হ্যামিল্টন সাহেবের বাংলো, বেকন বাংলো, পাখিরালয়, সজনেখালি ওয়াচ টাওয়ার, মিউজিয়াম, কচ্ছপ পুকুর, কুমীর পুকুর, সুধন্যখালি ওয়াচ টাওয়ার, দোবাঁকি ওয়াচ টাওয়ার, নেতিধোপানি ওয়াচ টাওয়ার, গাজিখালি, পিরখালি, পঞ্চমুখানি, বনবিবি ভারানি সহ আরও একাধিক দ্রষ্টব্য স্থান।
আর এই জায়গাগুলিতে যাওয়া-আসার পথেই দেখা মিলবে কুমির, হরিন, বন্য শূকর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। আর কপাল ভাল থাকলে দেখা মিলতে পারে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। এখানে এসে বেশির ভাগ পর্যটকই ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন।
এসবের সাথেই রয়েছে প্রাকৃতিক শোভা। এই এলাকায় গেলে আপনি দেখতে পারেন ঝড়খালি, বনিক্যাম্প, কৈখালি, কলস দ্বীপ সহ একাধিক এলাকা।
কোথায় থাকবেন
সুন্দরবন ভ্রমণে আসা পর্যটকদের অনেকেই লঞ্চে রাত্রি কাটাতে পছন্দ করেন। এ ছাড়াও সুন্দরবনের পাখিরালয়, দয়াপুর এলাকায় প্রচুর বেসরকারি হোটেল, লজ রয়েছে। সজনেখালিতে রয়েছে সরকারি পর্যটন আবাস। এখানে থাকতে হলে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইড থেকে অগ্রিম বুকিং করতে হয়।
অন্যদিকে ২৪ পরগনা বনবিভাগ এলাকায় রাত্রি যাপনের জন্য ঝড়খালি এলাকায় প্রচুর বেসরকারি হোটেল ও লজ রয়েছে। ঝড়খালিতে পর্যটকদের জন্য একটি কাঠের বাংলোও রয়েছে রাত্রি যাপনের জন্য। কৈখালিতেও রয়েছে পর্যটন আবাস। তবে এই সমস্ত সরকারি বাংলো বা কটেজে থাকতে হলে আগে-ভাগে পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইট থেকে বুকিং করতে হবে।