দেশ বিভাগে ফিরে যান

করোনার জের, পিছোচ্ছে সিপিআইএমের সম্মেলন, ইঙ্গিত ইয়েচুরির

July 27, 2020 | 2 min read

করোনার জেরে সম্মেলন পিছোচ্ছে সিপিআইএম। রবিবার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। শনি ও রবিবার দু’দিনের সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল দলের সম্মেলনে প্রসঙ্গ।

আগামী মার্চ মাসে দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এপ্রিলে পার্টি কংগ্রেস কাছাকাছি সময়ে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথাও রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলে। এই দুই রাজ্যের নির্বাচন সিপিএমের জন্যেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তাই সম্মেলন পরিচালনা করার নির্ঘন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রেও খুবই সতর্ক থাকতে হয় দলীয় নেতৃত্বকে। দলীয় সূত্রে খবর, নির্ধারিত সময়ে স্থানীয় স্তরে সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট কিন্তু করোনার জন্য পরিস্থিতির বদল হয়। এমন অবস্থায় স্থানীয় স্তরে সম্মেলন পরিচালনা অসম্ভব বলেই মনে করেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। আর স্থানীয় সম্মেলনের কাজ শুরু না করা গেলে তার উপরের সম্মেলনের কাজও আপাতত স্থগিত বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে সম্মেলনের কাজ কবে থেকে শুরু করা যাবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেই সময়সূচি ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের পলিটব্যুরোর উপর। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সম্মেলনের কাজ শুরু করা এক প্রকার অনিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে ৷

সম্মেলনের মাধ্যমে সাংগঠনিক ভাবে ঘর গোছানোর কাজ করে থাকে সিপিএম। রাজনৈতিক রণকৌশলও তৈরি করা হয় এই মঞ্চ থেকেই। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেই কাজে অনেকটাই ধাক্কা লাগল বলে মনে করছেন, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। তাঁদের মতে, করোনা ও আমফান পরিস্থিতিতে দলের ছাত্র-যুবদের কাজে সন্তুষ্ট আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। দলের গড় বয়স কমানোর জন্যেও দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করে আসছে রাজ্য নেতৃত্ব। এবারের সম্মেলনে ‘ইয়ং ব্রিগেডের’ হাতে নেতৃত্বের দায়িত্বের অনেকটা অংশ তুলে দিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারার কৌশল ছিল আলিমুদ্দিনের। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই কাজটি করতে পারলে অনেকটাই সুবিধা পাওয়া যেত বলে মনে করে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেই সুযোগ না থাকায় রণকৌশলে দল কিছুটা ধাক্কা খেল বলে মনে করছে রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। তবে বিকল্প পদ্ধতিতে সেই কাজ করা হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর ৷

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#covid-19, #Cpim, #sammelan

আরো দেখুন