কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

থানায় নির্যাতিত ‘মেয়েলি’ ছেলে

July 27, 2020 | < 1 min read

বিধাননগর কলেজের ছাত্র সঞ্জিত মন্ডলের বাড়ি সিটি সেন্টার- ২-এর কাছে। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি ‘এফিমিনেট’। তা নিয়ে লুকোচুরিও করেননি। একদিন রাতে হঠাত করে কিছু লোক, যারা নিজেদের সিভিক ভলিন্টিয়ার বলে দাবি করেন তারা টিপ্পনি কাটতে থাকেন। যদিও ছেলেটির দাবি তারা সিভিল ড্রেসে ছিলেন। সঞ্জিত প্রতিবাদ করায় তার মুখে ঘুসি মারা হয়। চুল ধরে টেনে হুমকিও দেওয়া হয়। এই পুরুষ শাসিত ব্যবহারে অভ্যস্ত সঞ্জিত। কিন্তু এনারা পুলিশ বলেই প্রতিবাদ করেন তিনি।

তখন হঠাতই লোকগুলি সঞ্জিতের ওপর চুরির অপবাদ দেয়। একটি জিপে করে নারায়নপুর থানায় নিয়ে গিয়ে সারা রাত চলে অকথ্য অত্যাচার। জিপের মধ্যেই হাত দেওয়া হয় গোপানাঙ্গে, বলা হয় নোংরা জোকস। তারা সঞ্জিতকে জিজ্ঞেস করে তার স্তনকে আছে কি না! লাঠি ঢোকানো হয় গোপনাঙ্গে। সঞ্জিতের অভিযোগ তাকে সারা রাত থানায় আটকে রেখে কেড়ে নেওয়া হয় ফোন। বাড়িতে জানাতে বাঁধা দেওয়া হয়। সারা রাত আটকে পরদিন সকালে ৫০০ টাকার পারসোন্যাল বন্ডে ছাড়া পান।

পুরো ঘটনা জানিয়ে সঞ্জিত, বিধান নগরের কমিশনার মুকেশকে চিঠি লেখেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন নিউ টাউনের ডিসিপি কামাশীষ সেন। প্রশ্ন উঠছে ট্রান্স জেন্ডাররা কি এখনো নিরাপদ নয় শহরে!

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#transgender, #police station, #Effeminate

আরো দেখুন