গান্ধী পরিবারের ট্রাস্টের সম্পত্তি কত? খতিয়ে দেখবে হরিয়ানা সরকার
নেহেরু-গান্ধী পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত ট্রাস্টগুলির সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখবে হরিয়ানা সরকার (Haryana)। রাজীব গান্ধী ট্রাস্টে চিন (China) থেকে টাকা আসে, এই অভিযোগ ওঠার পর থেকেই তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তারই অঙ্গ হিসেবে হরিয়ানা সরকার এই তদন্ত শুরু করছে বলে খবর। এ নিয়ে হরিয়ানা সরকারের স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশও দিয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, শুধু রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট (Rajiv Gandhi Trust) নয়। গান্ধী-নেহেরু পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আরও দুটি সংস্থার সম্পত্তি নিয়েও তদন্ত নামছে মনোহর লালা খাট্টার সরকার। এর মধ্যে রয়েছে ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট (Indira Gandhi Memorial Trust) এবং রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনও (Rajiv Gandhi Foundation)। এই তদন্তের বিষয়ে হরিয়ানার মুখ্য সচিব কেশনী আনন্দ অরোরা রাজ্যের অতিরিক্ত সচিবদের চিঠি দিয়েছেন। তাতে কেন্দ্রের সঙ্গে সমস্তরকম সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভূপেন্দ্র সিং হুডা ক্ষমতায় থাকাকালীন হরিয়ানায় একাধিক জমি কিনেছিল ওই ট্রাস্টগুলি। তা নিয়ে আগেভাগেই বিতর্ক রয়েছে। সূত্রের খবর, হাসপাতাল তৈরি করার জমি অ্যাসোসিয়েটেড জার্নাল লিমিটেডকে দেওয়া হয়। সেই বিক্রির দলিলে আমবার সোনিয়া গান্ধীর জামাই তথা কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্থীর জামাই রবার্ট বঢরার স্বাক্ষর ছিল। এই সূত্রে তাঁকে ইডি তলব করতে পারে খবর।
প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ দাবি করেছেন, ২০০৫-২০০৬ সালে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে আর্থিক অনুদান দিয়েছে ভারতের চিনা দূতাবাস। শুধু তাই নয়, ওই সংস্থায় চিন থেকে নিয়মিত টাকা আসে বলেও দাবি করেছেন তিনি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও দাবি করেছেন, চিন থেকে ৩ লক্ষ মার্কিন ডলার অনুদান পেয়েছে সংস্থাটি। উল্লেখ্য, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নামে তৈরি সংস্থাটির সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। এছাড়াও পরিচালনা সমিতিতে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও পি চিদম্বরমের মতো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দেশজুড়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।