খড়গপুর আইআইটি-র বাঙালি বিদ্বেষী পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে সরব জাতীয় বাংলা সম্মেলন
বাঙালি বিদ্বেষের অভিযোগ উঠল একদল অবাঙালি পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে অভিযুক্ত সকলেই ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। লেখাপড়ার জন্য তারা পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। রাজ্যের অত্যন্ত সম্মানীয় খড়গপুর আইআইটি-তে তারা লেখাপড়া করছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত চলছে বাঙালি বিদ্বেষী পোস্ট। এই সংক্রান্ত পোস্ট শেয়ার করার জন্য খোলা হয়েছে বিশেষ ফেসবুক গ্রুপ। যার নাম দেওয়া হয়েছে অ্যানাদার বেঙ্গালি উইথ পার্সোনাল অপিনিয়ন। ওই গ্রুপে ক্রমাগত বাঙালি জাতি, বাঙালি মেয়ে, বাংলার খাদ্যাভ্যাস ও সংস্কৃতি নিয়ে করা হচ্ছে কুরুচিকর পোস্ট। এমনকি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করা হচ্ছে নিয়মিত।
খড়গপুর আইআইটি রাজ্য তথা দেশের অত্যন্ত সম্মানীয় একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমান গুগল কর্তা সুন্দর পিচাই থেকে শুরু করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। উভয়েই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া ছিলেন। সেই প্রতিষ্ঠানের একদল অবাঙালি পড়ুয়া এখন অত্যন্ত করুচিকর ভাষায় আক্রমণ করে চলেছে বাঙালিদের। তাই আবার ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় লেখাপড়া করতে এসে।
এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হলেও তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ অভিযুক্ত পড়ুয়ারা। তারা অবলীলায় পোস্ট করেছে ওই ফেসবুক গ্রুপে। আর সেখানেও রয়েছে তীব্র বাঙালি বিদ্বেষ। পুলিশ এলে ‘দেখে নেব’ গোছের ভাব নিয়ে চলছে অভিযুক্তেরা।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে সরব হয়েছে একাধিক বাঙালি সংগঠন। পুলিশের কাছে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। জাতীয় বাংলা সম্মেলনের তরফে পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিদ্ধব্রত দাস। জাতীয় বাংলা সম্মেলনের এই নেতা জানিয়েছেন ওই ফেসবুক গ্রুপের সকল অ্যাডমিনদের নামে এফআইআর করা হবে।
এই ঘটনার প্রসঙ্গে সিদ্ধব্রত দাস বলেছেন, “খড়গপুর আইআইটি-র কিছু বহিরাগত হিন্দি রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলে তাতে লাগাতার বাঙালি জাতি, বাঙালি মেয়ে, বাংলার খাদ্যাভ্যাস ও সংস্কৃতি এমনকি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করে চলেছে। এই সমস্ত ছেলেমেয়েরা কেউ বাংলার নয়, সকলে বাইরে থেকে এসেছে এবং বাংলার মাটিতে বসে বাংলাকে অপমান করার স্পর্ধা দেখাচ্ছে।”
একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “লক্ষণীয় বিষয়, বাংলা ও বাঙালির বিরোধতার ক্ষেত্রে হিন্দি-উর্দু বলয়ের লোকেদের মধ্যে, নারী পুরুষ বা শিক্ষিত-অশিক্ষিত কোন পার্থক্য নেই। জাতীয় বাংলা সম্মেলনের প্রশ্ন, আইআইটি খড়গপুর কতৃপক্ষ আপনারা এখানে কি শিক্ষা দিতে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন? খুব শীঘ্রই জাতীয় বাংলা সম্মেলন এই জানোয়ারদের উপযুক্ত শিক্ষা দেবে।”