লক্ষ্মীর পরিবারে করোনা থাবা, আক্রান্ত বড় ছেলে
লক্ষ্মীর পরিবারে ফের করোনা থাবা। স্ত্রী সুস্থ হওয়ার একদিনের মধ্যেই করোনা আক্রান্ত লক্ষ্মীরতন শুক্লার বড় ছেলে। রবিবার রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লার বড় ছেলের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সংবাদমাধ্যমকে লক্ষ্মীরতন শুক্লা নিজেই সে খবর জানান।
ছেলের সঙ্গে করোনা পরীক্ষা করান লক্ষ্মীরতন শুক্লা নিজেও। তবে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও ছেলের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরেই ফের হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। ছেলের শরীরে কোনও উপসর্গ না থাকায় বাড়িতেই হোম আইসোলেশন রয়েছে সে। চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছে লক্ষ্মীরতন শুক্লার ১১ বছরের ছেলে।
গত ২৪ জুলাই অর্থাৎ শুক্রবার লক্ষ্মীরতন শুক্লা স্ত্রী স্মিতা সান্যাল শুক্লা করোনা মুক্ত হন। কিন্তু একদিনের মধ্যেই ছেলে আক্রান্ত হল। ১১ জুলাই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লার স্ত্রী। স্মিতা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক। দীর্ঘ চার মাস জরুরি পরিষেবায় যুক্ত থাকার পর করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। শরীরে উপসর্গ থাকায় কয়েক দিনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। উপসর্গ না থাকায় কয়েকদিন আগে বাড়িতে ফিরে আসেন। হোম আইসোলেশনে থাকার পর শুক্রবার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে স্মিতা সান্যাল শুক্লার।
হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পান লক্ষ্মীরতন শুক্লা, দুই ছেলে, বাবা সহ তাঁর ঘনিষ্ঠ লোকজন। কিন্তু শুক্রবার পরীক্ষা হওয়ার পরই লক্ষ্মীর বড় ছেলের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। করোনা পরিস্থিতি সামলাতে রাস্তায় নেমে কাজ করতে দেখা গিয়েছিল লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে। মাস্ক বিলি থেকে শুরু করে গরিব মানুষদের রোজ খাওয়ার ব্যবস্থা করা গিয়েছিলেন লক্ষ্মী। খেলাধুলা জগতে কেউ সমস্যায় পড়লে দ্রুত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক। দিন কয়েক আগে তৃণমূলের হাওড়া জেলার সভাপতি নির্বাচিত হন। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলেও বাড়িতে বসেই সমাজসেবায় ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। টেলিফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন। ছেলে সুস্থ হওয়ার পর মাঠে নেমে কাজ করতে চান রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন।