শিলিগুড়িতে রোজ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
টানা ১১ দিন লকডাউন চলছে শিলিগুড়ি পুর এলাকায়! এর মধ্যে রাজ্যজুড়ে দু’দিন লকডাউনও ছিল। আক্রান্তের গ্রাফ কমাতেই লকডাউন চলছে পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ডে। কিন্তু আদৌ কি এর প্রভাব পড়েছে আক্রান্তের গ্রাফে? উত্তর, না! হ্যাঁ, কোনো প্রভাবই পড়েনি। পড়বেই বা কী উপায়ে? রাজ্য জুড়ে সপ্তাহে ২ দিনের পূর্ণ লকডাউনে প্রভাব পড়লেও বাকি ৯ দিন তেমন প্রভাব পড়েনি। এমনকী পুলিশি ধরপাকড়েও হুঁশ ফেরেনি মানুষের। এক শ্রেণির মানুষ প্রতিদিনই রাস্তায় বের হচ্ছেন। বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন। ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানছে না বলে অভিযোগ। আর তাই সংক্রমণের গ্রাফ নামছে না।
গতকাল যেখানে পুর এলাকায় আক্রান্ত সংখ্যা ছিল ১০১! সব রেকর্ড ভেঙে নয়া রেকর্ড গড়ে। জেলায় সংখ্যাটা ছিল ১৩২! আর আজ খুব একটা কম নয়। পুর এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ জন! জেলায় সংখ্যাটা ৮০! পাহাড়ে নতুন করে আজ আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন। মাটিগাড়া ও নকশালবাড়ি মিলিয়ে সংখ্যাটা ৩। অর্থাৎ আক্রান্তের গ্রাফ নামার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। অথচ লকডাউন চলছে। শহর লাগোয়া ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন। এর মধ্যে সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটলিয়নে সংক্রামিত ১০ জন।
রবিবার সন্ধ্যে থেকেই শহর লাগোয়া চারগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় টানা ১০০ ঘন্টার লকডাউন শুরু হয়েছে। পুরসভা এলাকাতেও দুই পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। পাহাড়েও এক পুলিশ কর্মী আক্রান্ত! সবমিলিয়ে জেলার পাহাড় ও শিলিগুড়ি সংলগ্ন এলাকায় ক্রমেই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা! যা ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য ও প্রশাসনিক কর্তাদের। রবিবার থেকে পাহাড়ের চার পুরসভা এবং পাঁচটি গ্রামীন বাজার এলাকায় লকডাউন শুরু হয়েছে। টানা ৭ দিন চলবে লকডাউন। কালিম্পংয়েও নতুন করে ৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শিলিগুড়িতে লকডাউন না মেনে চললে মারণ করোনা ভাইরার তার জাল আরো ছড়াবে। শহরের মানুষ সচেতন না হলে কী উপায়ে গ্রাফ নামবে?