স্বাস্থ্য বিভাগে ফিরে যান

প্যাকেটজাত খাবার খেয়ে সর্বনাশ ডেকে আনছেন না তো? 

July 28, 2020 | < 1 min read

দিনের পর দিন লকডাউন চলছে, কিন্তু করোনা সংক্রমণ কমার বদলে বেড়েই চলেছে। ভ্যাক্সিনের ট্যায়াল শুরু হলেও এবছর তা বাজারে আসার কোন সম্ভনা নেই। আগে জানানো হয়েছিল করোনার প্রধান লক্ষণ শ্বাসকষ্ট। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে পেটখারাপ, জ্বর, সর্দি, চোখ লাল হয়ে যাওয়া সবই করোনার লক্ষণ। 

সম্প্রতি চিনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বেশ কিছু ফ্রোজেন চিংড়ি মাছের প্যাকেটেও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এমনকী করোনার ভাইরাস মিলেছে প্যাকেটজাত হার্বাল পাতাতেও। 

বিশেষজ্ঞদের মতে ফ্রোজেন খাবার খেয়ে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ এখনও এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। এই রোগ হাঁচি বা কাশি থেকেই সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। বিজ্ঞানীরা প্যাকেটজাত খাবারও গরম করে খাওয়ার কথা বলেছেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সুরক্ষিত ফোটানো খাবার খাওয়া। এছড়াও ঠান্ডা মাছ বা মাংস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সালমন মাছ না খাওয়াই শ্রেয়।

চিন এর রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের চিফ এপিডেমিওলজিস্ট জানিয়েছেন এই ভাইরাস খাবারের পৃষ্ঠের ওপর তিন মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তবে এই দাবিকে নস্যাৎ করে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে এখন পর্যন্ত দূষিত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কোনও প্রমাণ নেই। তবে কোন কুক বা ওয়েটার অসুস্থ অবস্থায় খাবার স্পর্শ করলে সংক্রমণের সম্ভবনা থাকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সমন্বিত গ্লোবাল আউটব্রেক অ্যালার্ট এবং রেসপন্স নেটওয়ার্কের এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে সংরক্ষিত খাবারে ভাইরাসগুলি ফ্রোজেন হয়ে থাকে। সুতরাং, যদি কোনও ভাইরাস প্যাকিং করার সময় কোনও ভাবে ঢুকে যায় তাহলে তা বেঁচে থাকতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, এটি যত ঠান্ডায় থাকবে তত দীর্ঘস্থায়ী হবে।        

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Health Tips, #packaged food

আরো দেখুন