“ঠোক দো শালে কো…” মৃত্যুকামনার জবাবে হুংকার অমিতাভ বচ্চনের
“ঠোক দো শালে কো…” হাসপাতালের বেডে শুয়েই ট্রোলারকে শায়েস্তা করতে ভক্তদের উদ্দেশে হুংকার অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan)। সম্প্রতি অভিনেতার কোনও এক পোস্টের নিচে এক নেটজনতা ট্রোল করে বলেছিলেন, “আমি চাই আপনি করোনাতেই মরে যান।” আর তার পালটা দিতে গিয়েই অমিতাভ যে এমন নজিরবিহীন মন্তব্য করবেন, তা বোধহয় কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি!
সত্তোরোর্দ্ধ অমিতাভ কোনওরকম রাখঢাক না করেই সপাটে কষিয়ে দিয়েছেন ওই ট্রোলারকে। বললেন, “তোমার বাবা কে তুমি নিজেই জানো না!… আমি যদি আমার ভক্তদের একবার বলি ‘ঠোক দো শালে কো’ তা হলে কী হবে ভেবে দেখেছো?” বর্ষীয়ান অভিনেতার মুখে এমন মন্তব্য কতটা শালীন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নেটজনতাদের একাংশ কাটাছেঁড়া করতে বসে গিয়েছেন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। গতকালই বউমা ঐশ্বর্য এবং নাতনি আরাধ্যার কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় বাড়ি ফিরেছেন ২ সদস্য। যা দেখে আবেগাপ্লুত অমিতাভ চোখে জল আসার কথাও বলেছেন। বিগ বি’র দ্রুত আরোগ্য কামনা করে এখনও কমেন্ট বক্স উপচে পড়ছে অনুরাগীদের মন্তব্য। যা দেখে তিনি অভিভূত। আর তার মাঝেই এক বড়সড় ছন্দপতন! লক্ষ লক্ষ শুভেচ্ছাবার্তার মধ্যেই ওই তির্যক মন্তব্য উড়ে এসেছিল বিগ বি’র সোশ্যাল ওয়ালে। এক-আধটা কুকথা তো সেলেবদের পোস্টে এমন উড়ে আসেই। তা নিয়ে বিশেষ কেউ মাথা ঘামান না। কিন্তু নজর এড়ায়নি অমিতাভের। কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছেন ওই ট্রোলারকে। শুধু তাই নয়, জবাব দিতে গিয়ে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তাতে রীতিমতো অবাক অমিতাভের গুণমুগ্ধরা।
“তুমি যেই হও, নিজের বাবার নামটা লেখোনি। কারণ জানোই না যে কে তোমার বাবা! দুটো ঘটনা ঘটতে পারে। হয় আমি বাঁচব। নয়তো মরব। যদি আমি মরে যাই তাহলে কোনও তারকার নাম জড়িয়ে তোমার কুকথা লেখার কী হবে…করুণা হয় ভেবে। জানবে অমিতাভ বচ্চনকে আক্রমণ করে এসব লিখছ বলেই নজরে এসেছো। এসব করে কিছু হবে না। আর যদি আমি ভগবানের দয়ায় বেঁচে থাকি এবং সুস্থ থাকি তাহলে শুধু আমার কাছ থেকে নয়, আমার ৯ কোটি একনিষ্ঠ ভক্তদের থেকেও নিন্দার ঝড় সামলাতে হতে পারে”, লিখেছেন অমিতাভ।
দীর্ঘ পোস্টে বিগ বি আরও লিখেছেন যে, “আমি আমার ভক্তদের এখনও এসব বলিনি। জেনে রেখো, তাঁরা একটা জোরাল শক্তি যা বিশ্বের পূর্ব থেকে পশ্চিম এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে ছড়িয়ে রয়েছে। তাঁরা শুধুমাত্র একটি বর্ধিত পরিবারই নয়। সেই বর্ধিত পরিবার নিমেষে ভস্মও করে দিতে পারে। আমার তাঁদের শুধু এইটুকুই বলার অপেক্ষা যে, ঠোক দো শালে কো।”